বাংলাদেশ ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিম সুপরিচিত নাম। কারো কাছে তিনি আদরের মুশি, কারো কাছে তিনি মিঃ ডিপেন্ডেবল, আবার কারো কাছে তিনি মিঃ ফিফটিন। দলের ছোটখাটো গড়নের এই তারকা সবার বেশ আদুরে এবং প্রিয়।
শৈশব থেকেই যার পরাজয় বরণ না করার দৃঢ় মানসিকতা ছিল। পরাজিত হলেও পরেরবার জয়ের মনোভাব নিয়ে সামনে আগাতেন। পরিশ্রম করতেন প্রতিনিয়ত। এখনও তিনি ঠিক তেমনটাই। দলের সবচেয়ে পরিশ্রমী খেলোয়াড় বলা হয় তাকে।
বেশ গোছালো মানুষ বলা চলে। বাসায় সযত্নে সাজিয়ে রাখা আছে তার যত সব অর্জন। প্রথম ক্রিকেটে যাত্রা শুরু বাড়ির পাশের মাটিডালী ক্রীড়াচক্র থেকে। বগুড়ার ছোটখাট গড়নের এই ছেলে এরপর একটু একটু করে নিজেকে বিশ্বের কাছে মেলে ধরেছেন।
বগুড়ার আনাচে-কানাচে মুশফিক অনন্য এক নাম। কেবল বগুড়াতেই নয়, সারা বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে অনন্য নাম মুশফিক। বগুড়ার বেশ বনেদী পরিবারে জন্ম নিয়েছেন৷ চাইলেই পারতেন আরাম-আয়েশে জীবন কাটাতেন। কিন্তু ভাগ্য হয়ত ভিন্ন কিছুই চেয়েছিল। তাই বেছে নিয়েছেন কঠিন এক লড়াই। যে লড়াইতে উঠা-নামা আছে, কষ্ট আছে, তিক্ততা আছে, আছে হাড় ভাঙা পরিশ্রম।
সবসময় নিজেকে পরিশ্রম আর সাধনায় সামনে এগিয়ে নিতে চেয়েছেন। যেখানে মনে হয়েছে বেশ কঠিন, সেখানে আরও বেশি পরিশ্রম করেছেন। বিকেএসপিতে মুশফিক বেশ নম্র-ভদ্র স্বভাবের এক মানুষ। তার ব্যবহারে মুগ্ধ কোচ, সতীর্থসহ সকলেই। দিনে দিনে যেন আরও পরিণত হয়েছেন মুশফিক।
বয়স যখন আঠারোর ছোঁবে ছোঁবে ভাব, তখন লর্ডসে অভিঢেক হয় এই তরুণের। সেখান থেকে সেই যে শুরু করলেন এখনও সেই যাত্রা চলছেই। দীর্ঘ ১৮বছরের ক্যারিয়ারে প্রাপ্তিতে যোগ করেছেন অনেক কিছুই। আবার বিতর্কিতও হয়েছেন মাঝে। সব ছাপিয়ে তিনি পরিশ্রম করে আবারও সফল হয়েছেন।
বয়সের সাথে পরিণত হয়েছেন বেশ। নিজের ব্যাটিংকে পরিণত করেছেন, প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজের পরিচয়, পরিশ্রম করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। সবসময় মুখভর্তি হাসি নিয়ে মেনে নিয়েছেন সবকিছুই। নাান ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরিয়ে দলে নিজের নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন। হয়ে উঠেছেন মিঃ ডিপেন্ডেবল।
ব্যাট হাতে আর উইকেটের পিছনে গড়েছেন অনন্য সব রেকর্ড। পুরো পরিসংখ্যানে বরং না যাই। হিসেব কষতে গেলে বেশ লম্বা হিসেব তৈরি হবে। মুশফিকের সকল বিশেষত্ব গাঁথা থাকুক রঙিন খামে। জন্মদিনে শুভেচ্ছায় উদ্ভাসিত হোক প্রতিটি মুহূর্ত।