চেমসফোর্ডে সিরিজের ২য় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ৩ উইকেটে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেনি বাংলাদেশ। খুব দ্রুত তামিমের (৭) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নতুন করে শান্তকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন লিটন। ১০ম ওভারে লিটন ফিরলে হলে সাকিবকে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন শান্ত। এই জুটিতে দলীয় রান শতকের ঘর পেরিয়ে যায়। ১৭তম ওভারে সাকিব ফিরলে ক্রিজে আসেন তৌহিদ হৃদয়। হৃদয়কে নিয়ে ১৩১ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন শান্ত। যা দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল।
৩৪তম ওভারে ৫৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন হৃদয়। এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিক। দুর্দান্ত শতক করেন শান্ত। শতকের পর অবশ্য বেশিদূর আগায়নি শান্তর ইনিংস। ৯৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন শান্ত। নতুন করে মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়লেও, হঠাৎ ডকরেলের এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে আউট হন মিরাজ। লিটলের বলে একই পথে হেঁটেছেন তাইজুলও। সবশেষে শরিফুলকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন মুশফিক। মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। ২৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। দলের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ডকরেল এবং ক্যাম্ফার। ১টি করে উইকেট নেন লিটল, মার্ক এবং হিউম।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেনি আইরিশরা। খুব দ্রুত ২ উইকেট হারায় আইরিশরা। ৩য় উইকেটে নতুন করে টেক্টরকে নিয়ে জুটি গড়েন বালবার্নি। দুর্দান্তভাবে আগালেও বালবার্নি (৪২) ফিরেন ২৩তম ওভারে। এরপর ইনিংস বড় হয়নি টাকারেরও(১৬)৷ ক্রিজে নেমে সুবিধা করতে পারেননি কুর্টিস (৮)। ক্যাম্ফারের আউটের পর টেক্টরের ব্যাটে শতক আসে। আইরিশ ব্যাটার হিসেবে দ্রুততম শতক করোন তিনি।
ক্যাম্ফারের পর জর্জ ডকরেল ক্রিজে আসলে তাকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন টেক্টর। ব্যাট হাতে অর্ধশতক পান ডকরেল। শেষদিকে এসে ইবাদতের বলে বোল্ড হয়ে টেক্টর ফিরলেও আইরিশরা ততক্ষণে বেশ ভালো সংগ্রহ পেয়েছে। ৪৫ ওভারে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান। ডকরেল ৭৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান ও শরিফুল। ১টি করে উইকেট নেন এবাদত এবং তাইজুল।