চট্টগ্রামে ২য় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। ওপেনিং জুটির জোড়া শতকে এই সংগ্রহ পায় আফগানরা।
তামিম না থাকাতে এই ম্যাচে বাংলাদেশ লিটনের অধীনে খেলেছে। মুস্তাফিজের হাতে শুরুতে বল তুলে দেওয়া হয়। যদিও সুবিধা করতে পারেননি মুস্তাফিজ। এই ম্যাচে মলিন ছিলেন হাসান-এবাদতরাও। যার ফলে আফগানরা দারুণ শুরু পায়।
দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান বেশ ভালোভাবেই আগাচ্ছিলেন। পাওয়ারপ্লেতে কোন উইকেট ছাড়াই ৬৭ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা। পাওয়ার প্লের আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচ মিসের ফলে সময়ের আগেই থামানো যায়নি এই ব্যাটারদের।
দুই ওপেনার শক্ত ভিত গড়ে দেন। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বেশ দ্রুতই আগাচ্ছিল আফগানরা। বাংলাদেশ তখন উইকেটের জন্য হাহাকার করছিল। বার বার বোলিং পরিবর্তন করেও কোন লাভ হচ্ছিলনা।
দেখতে দেখতে গুরবাজের ব্যাটে শতক আসে। এরপর আগ্রাসী হয়ে উঠেন গুরবাজ। প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি পাড় করছিলেন। গুরবাজকে ১৪৫ রানে থামান সাকিব। ২৫ বল মোকাবিলায় ১৩ টি চার ও ৮ ছক্কায় ১৪৫ রান নেন গুরবাজ।
আফগানিস্তানের ২৫৬ রানের রেকর্ড ওপেনিং জুটি ভাঙে গুরবাজ ফেরার পর। এরপর রহমত শাহ আসলে তাকে দ্রুত ফেরান এবাদত। ইনিংস টিকেনি হাশমতউল্লাহ শহিদীরও। ফিরেছেন মিরাজের ওভারে। এরপর মিরাজ ফেরান নাজিবউল্লাহ জাদরানকেও। একপাশে তখনও ব্যাট করে যাচ্ছেন ইব্রাহিম। তার ব্যাটে শতক আসে।
শতকের পর মুস্তাফিজের বলে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ইব্রাহিম। শেষ দিকে নবি ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩৩১ রানের বর পুঁজি পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজ, সাকিব এবং হাসান।