চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ম্যাচে আফগানদের ৭ উইকেটে পরাজিত করে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো বাংলাদেশ। ১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত সময়ের আগেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে ২-০ তে এগিয়ে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল রশিদ-মুজিবরা। এই ম্যাচে তাই রশিদকে বিশ্রামে রেখেই মাঠে নেমেছে আফগান দল।
অন্যদিকে বাংলাদেশ একাদশে ফিরিয়েছে শরীফুল, তাসকিন এবং তাইজুলকে। এই ত্রয়ী ম্যাচের মোড় পাল্টে দিয়েছে নিজেদের দুর্দান্ত বোলিং স্পেলে। যার ফলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানেই থেমেছে আফগানিস্তান।
সফরকারী দলের কেবল আজমতউল্লাহ ছাড়া কেউ খুব একটা রানের খাতা খুলতে পারেননি। আজমতউল্লাহর ব্যাটেই কেবল অর্ধশতরানের ইনিংস এসেছে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ২ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফজলহক ফারুকির ওভারে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন। যার ফলে শূন্য রানেই ফিরেছেন এই ব্যাটার।
এরপর কিছু সময় ব্যাট করলেও ৭ম ওভারে আবারও ফারুকির আঘাত টাইগার শিবিরে। ফিরেছেন মাত্র ১১ রান করে। ৩য় উইকেট জুটিতে সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়েন লিটন। এই জুটিতে ৬১ রানের পার্টনারশিপ আসে।
১৮তম ওভারে নবির বলে হাশমতউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাকিব। ৩৯ বলে ৫ চারসহ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। এরপর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়। শেষ দিকে হৃদয়-লিটন জুটি ক্রিজে থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয় পায়।
দলের হয়ে ২টি উইকেট নেন ফারুকি। ১টি উইকেট নেন নবি।
এর আগে টাইগার বোলারদের দাপটে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানেই থেমেছে আফগানিস্তান। ইনিংসের শুরু থেকেই রান খরায় ভুগতে থাকে মুজিবরা। উইকেট থাকলেও ব্যাটে রান আসছিলনা। বেশ বড় রানের পার্টনারশিপও হয়নি কোন জুটিতে।
আফগানদের মাঝে কেবলমাত্র আজমতউল্লাহ দীর্ঘ সময় ক্রিজে ছিলেন। বাকিদের মধ্যে কেবল হাশমতউল্লাহ রান সংখ্যায় বিশের ঘর পেরিয়েছেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই সবগুলো উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন শরীফুল। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন এবং তাইজুল। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ এবং সাকিব।