সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-২০ সিরিজে ২-০তে শেষ করে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন লিটন-আফিফ। বেশ দুর্দান্তভাবেই আগাচ্ছিল বাংলাদেশ। এমন সময় ১০ম ওভারে মুজিব বল হাতে এসে প্রথম বলেই লিটন দাসকে রশিদের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান।
যার ফলে ব্যাক থ্রু পায় আফগানিস্তান। ৩৬ বলে ৬ চারসহ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। একই ওভারে মুজিবের জোড়া আঘাতের ফাঁদে পড়ে করিম জানাতকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন আফিফ হোসেন (২৪)। পর পর দুই ওপেনারকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কিন্তু পরবর্তী ওভারে আজমতউল্লাহর বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন শান্ত (৪)।
৩য় উইকেটে সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয়। এই জুটিতে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরোয়। ১৫তম ওভারে আজমতউল্লাহ এট্যাকে নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হৃদয় (১৯)। হৃদয় ফিরলে সাকিব-শামিম জুটি ইনিংস শেষ করেন।
শেষ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি দিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন শামিম। বাংলাদেশ ৫বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় পায়। সাকিব ১৮ রান এবং শামিম ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। দলের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুজিব এবং আজমতউল্লাহ।
এর আগে টসে জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। বল হাতে এসেই প্রথম ওভারে আফগানদের ওপেনিং জুটিতে আঘাত হানেন তাসকিন। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফিরেন ৮ রানে।
৩য় ওভারে আবারও তাসকিনের বলে ফিরেন আরেক আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই। লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪ রানে ফিরেন এই ওপেনার। আফগানদের ব্যাটিং চলাকালীন ৭.২ ওভারে বৃষ্টি নেমে আসে।
বৃষ্টির ফলে প্রায় পৌনে এক ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকার পর ৮:১৫ মিনিটে ম্যাচ শুরু হয়। বৃষ্টির ফলে ১৭ওভারে নির্ধারিত হয় ম্যাচ। মাঠে এসেই দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজ আফগান শিবিরে আঘাত হানেন।
আউট সাইড এজ হয়ে ফিরেন মোহাম্মদ নবি। এরপর বোলিং করতে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিব এসেই একই ওভারে জোড়া আঘাতে ইবরাহিম জাদরান এবং নাজিবউল্লাহ জাদরানকে ফেরান।
ষষ্ঠ উইকেটে করিম জানাতকে নিয়ে জুটি গড়েন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এই জুটিতে দলীয় রান ১০০ পেরোয়।
১৬তম ওভারে মুস্তাফিজের আঘাতে আজমতউল্লাহ ২৫ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এরপর কোন রান যোগ না করেই পরবর্তী ওভারে তাসকিনের আঘাতে ফিরেন করিম জানাত। তার ব্যাটে ২০ রান আসে।
নির্ধারিত ১৭ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান। দলের হয়ে ৩টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ২টি করে উইকেট নেন সাকিব এবং মুস্তাফিজ।