সিরিজ জয়ের পথে থেকেও শেষ পর্যন্ত টাই হয়েছে বাংলাদেশ বনাম ভারত তৃতীয় ওয়ানডে। তবে সিরিজ জেতা না হলেও প্রাপ্তির খাতা ছিল বেশ বড়। ২২৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতকে থামিয়েছে ২২৫ রানে।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ফলাফল টাই হলেও খেলা আর সুপার ওভারে গড়ায়নি। যার ফলে ১-১ ব্যবধানে দুই দলের মধ্যে ট্রফি ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মারুফার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে শেফালি ভার্মার উইকেট হারায় ভারত। পাঁচ ওভারের মধ্যে স্বস্তিকা ভাটিয়াও (৫) ফিরেন। এরপর ভারতের হাল ধরেন স্মৃতি মান্দানা এবং হারলিন দেওল। ১০৭ রানের জুটি গড়েন দুজনে মিলে।
৫৯ রান করে ফাহিমা খাতুনের ওভারে স্মৃতি ফিরলে ভারত চাপে পড়ে যায়। এরপর দ্রুত ফিরেছেন হারমানপ্রীত (১৪)। সঙ্গী হারিয়ে জেমিমাহকে নিয়ে জুটি গড়েন হারলিন। তবে হারলিন (৭৭) ফিরেছেন দলীয় ২০০ রানের আগেই। খানিকপরে ফিরেন দীপ্তি শর্মা। জেমিমাহ একপাশ থেকে এগিয়ে নিতে থাকেন।
জয়ের খুব কাছাকাছি এসে নাহিদার স্পিন এট্যাকে লন্ডভন্ড হয় ভারত। নাহিদার জোড়া আঘাতে ভারতের ৯ উইকেট নাই হয়ে যায়৷ শেষ দুই ওভারে ৯ প্রয়োজন। ব্যবধান কমেই এসেছিল। শেষ ওভারে আবারও মারুফার হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক। প্রথম দু’বলে সিঙ্গেল দিলেও তৃতীয় বলে মেঘনাকে ফাঁদে ফেলেন মারুফা। যার ফলে ম্যাচ ড্র হয়।
এর আগে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে যায় বাংলাদেশ। শুরু থেকে ধীরে ধীরে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুই ওপেনার শামিমা এবং ফারজানা। শামিমার ব্যাটে অর্ধশতক আসে। অর্ধশতকের কিছু সময় পরেই ফিরেন শামিমা (৫২)।
৯৩ রানের পার্টনারশিপ আসে এই জুটিতে। ওপেনিংয়ে বাংলাদেশি মেয়েদের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শারমিন আক্তার ও শুকতারা রহমানের জুটিতে ১১৩ রান এসেছিল।
এরপর নিগার সুলতানাকে নিয়ে আগাতে থাকেন ফারজানা। ২৪ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন নিগার। এরপর বিদায় নেন রিতু মনিও (২)। এরপর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে আগান ফারজানা। ফারজানার ব্যাটে শতক আসে। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ১৬০ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে এটি সর্বোচ্চ ইনিংস।
শেষপর্যন্ত ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সোবহানা। বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২২৫ রানের সংগ্রহ পায়। ভারতের হয়ে ২ উইকেট নেন রানা।