আসরের শুরু থেকেই ইনজুরি জর্জরিত ছিল লঙ্কান শিবির। দলের বেশ কিছু তারকা দল থেকে ছিটকে গেছে আসরের আগেই। নানা দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে আসর শুরু করলেও বেশ ভালোভাবেই পেরিয়ে এসেছে লঙ্কানরা।
হাসারাঙ্গা, দিলশান, চামিরা, লাহিরুকে ছাড়াই খেলতে নেমেছে দলটি। বাঁচা মরার ম্যাচে প্রাণপণ লড়াই করে টানা দ্বিতীয় বার ফাইনালে পৌঁছে গেছে লঙ্কানরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বেশ নাটকীয়তায় শেষ বলে জয় এসেছে লঙ্কানদের হাতে। পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিজেদের করে নিয়েছে লঙ্কানরা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালোভাবেই নিজেদের অনুকূলে পরিস্থিতি রেখেছিল লঙ্কানরা। ইনজুরি জর্জরিত পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপও যেন ছিল অসহায়। নাসিম শাহ-হারিস রউফের ইনজুরি যেন পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে নিয়ে গেছে। ম্যাচে বারংবার ফিরতে চেয়েও হলোনা।
শুরু থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং শৈলীতে মুগ্ধ করেছেন কুশাল পেরেরা। দলের জেতার কাজটা অনেকটাই সহজ করে দেন তিনি। যদিও নার্ভাস নাইন্টিতে ফিরেছেন শাদাব খানে রান আউটে। বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকেননি পাথুম নিশাঙ্কা। এরপর সাদিরা-মেন্ডিস জুটি দলকে ম্যাচে ফেরার পরিপূর্ণভাবে। সেখান থেকেই মূলত পাকিস্তানের হাত থেকে ম্যাচটি বেরিয়ে যায়।
সামারাবিক্রমা ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৪৮ রানে। আর মেন্ডিস ফিরেছেন ৯১ রানে। যদিও এতে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। ম্যাচটা বেশ অনায়াসে শেষ করেছে লঙ্কানরা। মাঝপথে দ্রুত উইকেট হারানো শুরু করলেও শেষ অবদি লঙ্কানরা আবারও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ম্যাচ। চারিথ আসালাঙ্কার দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। দলের হয়ে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
১৩০ রানেই পাকিস্তানের টপ অর্ডারের ৫ উইকেট পড়ে যায়। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার। ৪৭ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ইফতিখার। রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত ছিলেন। ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এছাড়াও পঞ্চাশের ঘর পেরিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিক(৫২)। ৪২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৫২ রান। বৃষ্টি আইনে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্যও ছিল ২৫২।
শ্রীলঙ্কার হয়ে তিন উইকেট শিকার করেছেন মাথিশা পাথিরানা। প্রমোদ মাদুশান নিয়েছেন দুটি উইকেট।