নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৬ রানে পরাজিত করে সুপার ফোরের তৃতীয় অবস্থানে থেকে এশিয়া কাপের আসর শেষ করেছে বাংলাদেশ।
শুভমান গিলের ব্যাটে-বলে হওয়াতে বেশ ভালোই ছন্দে ছিলো ভারত। এমন সময়ে মেহেদীর আঘাতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন গিল। এরপর বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অক্ষর প্যাটেল। শেষ দিকে ভারত তখন জয়ের অনেকটা কাছে। এমন সময় মুস্তাফিজুর রহমান এসে তাকে ফিরিয়ে ম্যাচে টান টান উত্তেজনা ফেরান।
ঐ ওভারে মাত্র ৫ রান দেন মুস্তাফিজ। শেষ ওভারে দলের ভরসা হয়ে আসেন অভিষেক হওয়া তানজিদ তামিম। ভারতের কেবলমাত্র ১২ রান প্রয়োজন তখন। তানজিমের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৫ রান নিতে পেরেছে ভারত। যার ফলে বাংলাদেশ ৬ রানে জয় পায়। দীর্ঘ ১১বছর পর এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে জয় পেলো বাংলাদেশ।
জয়ের লক্ষ্যে ভারত যখন মাঠে নেমেছে। রোহিত শর্মার বিপক্ষে অভিষেক হয়ে বল হাতে নামলেন তানজিম হাসান সাকিব। আর বল হাতে দ্বিতীয় বলেই রোহিতকে ফিরিয়ে বাজিমাত করেন তিনি। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রোহিত৷ শূন্য রানেই ফিরেছেন বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর অভিষেক হয়ে ক্রিজে আসা তিলককেও ফেরান জুনিয়র সাকিব।
১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে টেনে তোলেন গিল এবং রাহুল। মোটামুটি সেট হতে শুরু করলে রাহুলকে ফিরিয়ে বেকথ্রু এনে দেন মেহেদী। এরপর আসা ইশান কিশানকে ফিরান মিরাজ। এরপর সূর্যকুমারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গিল। যদিও সূর্যকে ঠিকতে দেননি সাকিব আল হাসান।
সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়ে ২৬ রানেই ফিরেছেন সূর্য। এরপরেই শতক পান গিল। গিল মোটামুটি ভারতকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল। এমন সময় মেহেদীর আঘাতে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। ১২১ রানে ফিরেন তিনি। এরপর শার্দুলকে ফেরান মুস্তাফিজ। প্যাটেলও ফিরেছেন তার আঘাতে। এরপর আর কেউ দলকে জয়ের প্রান্তে নিত পারেনি। ৬ জানে জয় পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া তানজিম সাকিব ও মেহেদি দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন লিটন। ক্রিজে টিকেননি তানজিদ হাসান তামিমও। দীর্ঘ সময় পর দলে ফেরা বিজয়ও ছিলেন ব্যর্থ। ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের তখন দিশেহারা অবস্থা। ৫ নাম্বারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মিরাজও। ফিরছেন ১৩ রানে।
একপ্রান্ত আগলে রাখা সাকিব হৃদয়কে নিয়ে এগুতে শুরু করেন। ব্যক্তিগত ৮০ রানে সাকিব ফিরেন। এরপর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি শামীম পাটোয়ারীও। শামীম ফিরলে হৃদয়কে ভালোই সঙ্গ দেন নাসুম আহমেদ। হৃদয়ের ব্যাটে অর্ধশতক আসে৷ এরপর শামির ফাঁদে পড়ে হৃদয় প্যাভিলিয়নে ফিরলে বাকিরা মিলে শেষ পর্যন্ত ২৬৫ রান সংগ্রহ করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ২৬৫/৮ (৫০ ওভার)
সাকিব ৮০, হৃদয় ৫৩, নাসুম ৪৪
শার্দুল ৩/৬৫, শামি ২/৩২
ভারত – ২৫৯/১০ (৪৯.৫ ওভার)
গিল ১২১, অক্ষর ৪২
মুস্তাফিজ ৩/৫০, তানজিম সাকিব ২/৩২, শেখ মেহেদী ২/৫০