চেন্নাইয়ের এম.এ. চিদাম্বুরাম স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে জয় দিয়ে আসর শুরু করলো স্বাগতিক দল ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস খুব একটা ভালো যায়নি ব্যাট হাতে। তবে বল হাতে দুর্দান্ত শুরুই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টার্ক,হ্যাজলউডের ঘূর্ণিতে ভারতের টপ অর্ডারের ৩জন ব্যাটার শূন্য রান করেই সাজঘরে ফিরেন। সেখান থেকে ম্যাচের মোড় পাল্টে দেন বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুল। দুর্দান্তভাবে ক্রিজে সেট হতে থাকেন দুজন।
ভারতের জয় সহজ হতে থাকে। যদিও ২০০ রানের লক্ষ্য খুব একটা বিশাল ছিলোনা ভারতের জন্য। তবে মাঠের কন্ডিশন বলছিল একটু এদিক-ওদিক হলেই ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস নামতে পারে। তবে সে চাপ বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন কোহলি-রাহুল।
দুজনে মিলে ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই পার্টনারশিপ থামে কোহলি ফিরলে। হ্যাজলউডের বলে ল্যাবুশেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে কোহলি ফিরেন। ১১৬ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর পান্ডিয়াকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন রাহুল। ১১৫ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৬ উইকেটে জয় পায় ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হেজেলউড তিনটি এবং স্টার্ক একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে মার্শের উইকেট হারায় খুব দ্রুতই। বুমরাহর ডেলিভারিতে রানের খাতা খোলার আগেই আউট সাইড এজ হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। এরপর স্মিথকে নিয়ে হাল ধরেন ওয়ার্নার। তবে ৪১ রানের ইনিংস খেলেই কুলদ্বীপের ফাঁদে পড়ে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর স্মিথও বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না। ৪৬ রান করে জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনিও। অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও জাদেজার আঘাতে আবারও দুটি উইকেট হারায় একই ওভারে। ল্যাবুশ্যেন এবং ক্যারি ফিরেন পরপর।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সও ফিরেন দ্রুতই। জাম্পা, স্টার্কও ফিরেছেন ইনিংস শেষের আগেই। ১৯৯ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।