রোহিতের দিনে ফলাফল কেবলই যেন ভারতের পক্ষেই কথা বলে। ব্যাট হাতে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় অনেকটাই সহজ করে দেন। যদিও আফগানদের দেওয়া ২৭৩ রানের টার্গেট খুব একট বড় ছিলনা ভারতের জন্য। হেসে খেলেই ৮ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে ভারত।
চার-ছক্কার মার দিয়ে রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি দলকেও দিয়েছেন স্বস্তি। আফগান বোলারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে নিজেদের শক্ত অবস্থার জানান দিতেই যেন এমন ইনিংস।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে ধীরেসুস্থে খেলছিলেন দুই ওপেনার। এরপর ধীরে ধীরে রানের খাতা খোলা শুরু করেন। ব্যাট হাতে একের পর এক রেকর্ড গড়েন রোহিত।
প্রথমে বিশ্বকাপে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এরপর ছক্কা হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়েন।
৬৩ বলে ছুঁয়েছেন শতক। সেই সাথে বিশ্বকাপে নিজের ৭ম শতক তুলে নিয়ে ভারতের হয়ে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়েন। এরপর ওয়ানডের হিসেবে শতকের তালিকায় রয়েছেন ৩য় স্থানে। ওপেনার হিসেবে দ্বিতীয়।
রোহিতকে এদিন সঙ্গ দিয়েছেন ঈশানও। যদিও বেশিক্ষণ টিকেননি তিনি। এরপর কোহলিও পেয়েছেন অর্ধশতক। আফগানিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট নেন রশিদ খান।
শুরুতে টসে জিতে ভালো শুরুই করে আফগানরা। কিন্তু ওপেনিং জুটিকে বড় হতে দেননি বুমরা। ইব্রাহিমকে ফেরান। আরেক ওপেনার গুরবাজকে ফেরান হার্দিক। ইনিংস বড় হয়নি রহমত শাহেরও। ফিরেছেন শার্দুলের বলে।
এরপর হাশমতউল্লাহ এবং আজমতউল্লাহর দুর্দান্ত পার্টনারশিপে আফগানদের ইনিংস বড় হতে থাকে। দু’জনেই ৫০+ ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে কেউ বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকেননি। আফগানদের ইনিংস থামে ২৭২ রানে।
ভারতের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। এ ছাড়া হার্দিক দুটি, শার্দুল ও কুলদীপ যাদব নিয়েছেন একটি করে উইকেট।