এবারের আসরের শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়া মাঠে রংহীন। ছন্দপতনে টানা দু’ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। লোকমুখে বলাবলি শুরু হয়েছিল এই টিম দিয়ে আর কিছুই হবেনা। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কারও ছিল বেহাল দশা। প্রথম দু’ম্যাচে তারাও হেরেছে৷ ফলে এই ম্যাচ ছিল দু’দলের জন্যই প্রথম জয় প্রত্যাশী ম্যাচ।
নিজেদের প্রথম জয়ের প্রত্যাশায় জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে পরাজিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। টসে হেরে বোলিংয়ে যায় অজিরা। আর বল হাতে জাম্পা, কামিন্স, স্টার্কের চাপের মুখে ২০৯ রানে আউট হয় লঙ্কানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মার্শ ও ইংলিসের অর্ধশতকে ভর করে জয় সহজ হয়ে যায় অজিদের।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে বেশি রান আসেনি। ওয়ার্নার ফিরেন দ্রুতই। পরপর ফিরেন স্মিথও। মাধুশংকার বলে দুজনেই এলবিডব্লু হয়ে ফিরেন। তৃতীয় উইকেটে ল্যাবুশ্যেনকে নিয়ে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন মার্শ। ব্যক্তিগত ৫২ রানে ফিরলে ইংলিস এসে দলের হাল ধরেন।
ভালোভাবেই আগাচ্ছিল ইনিংস। কিন্তু আবারও মাধুশংকার আঘাতে ফিরেন ল্যাবুশ্যেন। লাবুশ্যেন ফেরার পর ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে আসেন। কিন্তু খানিক সময় পরেই ইংলিস ৫৮ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন। এরপর স্টয়নিসকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন ম্যাক্সওয়েল। অজিরা ৬ উইকেটে জয় পায়।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় লঙ্কানরা। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেন লঙ্কান দুই ওপেনার। বিনা উইকেটে ১২৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেন দুজনেই। বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে থাকে লঙ্কানরা। এরপর কামিন্সের বলে পরপর ফিরেন দুজনেই।
দুজন ওপেনার যাওয়ার পর শুরু হয় লঙ্কানদের আসা-যাওয়া। একপ্রান্তে যদিও আসালঙ্কা আগলে রাখেন। আসা-যাওয়ার মিছিলে কোনক্রমে দুশো রান পাড় করে লঙ্কানরা। ২০৯ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। ১টি উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।