পুরো আসর জুড়ে অপরাজিত রইল ভারত। আর পুরো আসর জুড়ে একটাই নাম জ্বলজ্বল করেছে। সেটা বিরাট কোহলি। গত ম্যাচে শতকের দেখা পেলেও এই ম্যাচে মাত্র ৫ রানের জন্য অধরা থেকে গেছে শতক। তবে শেষ দিকে বাউন্ডারি দিয়ে ঠিকই দলের জয় নিশ্চিত করেছেন জাদেজা। ভারত ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে।
জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার। ফর্মে থাকা রোহিতকে দারুণ সঙ্গ দেন গিল। ৪৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন রোহিত। গিল ফিরেছেন মাত্র ২৬ রান করেই। এরপর আইয়ারকে নিয়ে জুটি গড়েন কোহলি। দুজনে মিলে দুর্দান্ত ব্যাটিং শৈলীতে এগিয়ে যেতে থাকেন। মাঝে কুয়াশার কারণে ১৪মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।
৩৩ রানের ইনিংস খেলে আইয়ার ফিরলে রাহুল এসে হাল ধরার চেষ্টা করেন। ভালোই চলছিল সবকিছু কিন্তু রাহুলকে ফিরিয়ে ম্যাচে ব্যাকথ্রু আনেন স্যান্টনার। হার্দিকের বিপরীতে নামা সূর্যও কিছু করতে পারেননি। এরপর জাদেজাকে সাথে নিয়ে জয়ের জন্য এগুতে থাকেন কোহলি।
শেষদিকে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭রান। কোহলির শতকের জন্যও তখন মাত্র ৭ রান দূরে। এমন সময় প্রথম বলে দু’রান নিলেও পরের বলে উড়িয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ফিলিপসের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। শতকের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় থাকে। তবে তখন দল জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। যার ফলে জাদেজা শেষ দিকে বাউন্ডারি দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন।
এ পর্যন্ত টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে অপরাজিত রইল ভারত। অন্যদিকে এবারের আসরে প্রথম হার বরণ করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে ২ উইকেট নেন ফার্গুসন৷ বোল্ট, হ্যানরি এবং সান্টনার ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে যায় কিউইরা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দ্রুত প্রথম উইকেট হারায় তারা। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেন কনওয়ে। উইল ইয়াংও ফিরেছেন দ্রুতই। এরপর মিচেল ও রাচিন মিলে নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন। দুজনে মিলে ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
অর্ধশতক পান রাচিন। ৭৫ রানের ইনিংস খেলে রাচিন ফিরলে সান্টনার তখনও শতকের পথে ছিলেন। শতক তুলেও নেন তিনি। বাকিরা কেউ ঠিকঠাক সঙ্গ না দেওয়াতে ২৭৩ রানেই কিউইদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ রান করেন মিচেল।
ভারতের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। কুলদ্বীপ ২টি উইকেট নেন। সিরাজ এবং বুমরাহ ১টি করে উইকেট নেন।