চট্টগ্রাম টেস্টে রানের বন্যা চলছে। ২৯ অক্টোবর সকালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এরপর প্রথম উইকেট দলীয় ৬৯ রানে থামে। এরপর শুরু হয় আসল ইনিংস। স্টাবস এবং জর্জির দুর্দান্ত পার্টনারশিপ। দুজনের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো কিছু একটা ভর করেছে। ২০১ রানের পার্টনারশিপ আসে এই জুটিতে।
স্টাবসকে ১০৬ রানে ফিরিয়ে এই জুটিও ভাঙেন তাইজুল নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিয়ে। যদিও ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি প্রোটিয়ারা। ডেভিডকে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন জর্জি। প্রোটিয়ারা প্রথম দিন শেষ করে ২উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রানের সংগ্রহ নিয়ে।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে আবারও তাইজুলের এট্যাক। ডেভিডকে ফেরান ৫৯ রানে। এর পরেই যেন শুরু হয় তাইজুল জাদু। যদিও মনে হচ্ছিলো জর্জি নিজের দ্বিশতকের রেকর্ডও গড়ে নিবে এই ইনিংসেই। তবে তাইজুলের ঘূর্ণির কাছে ১৭৭ রানেই থামতে হয়েছে তাকে। ডেভিডের ফেরার পর থেকে প্রোটিয়াদের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা ভাটা পড়ে৷ জর্জির পর আরও ফেরেন রিকেলটন এবং কাইলি। যদিওবা প্রোটিয়ারা চারশ রান পাড় করেছে।
তাইজুলের ফাইফার পূর্ণ হলো আবারও এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে। এর আগে ঢাকা টেস্টেও প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। চট্টগ্রাম টেস্টেও অবিশ্বাস্য মিল রেখে ১ম ইনিংসেই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। যদিওবা প্রো টিয়া দের পুরোপুরি থামানো যায়নি। তবে তাইজুলের নিয়ে আসা বেক থ্রুতে প্রোটিয়াদের ইনিংস আরও ছোট হয়েছে বললে বোধহয় ভুল হবেনা।
স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৪৯/৬ (১২০ ওভার)