Google search engine

 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম ওপেনার তামিম ইকবাল। বেশ বড় একটা সময় ধরেই যাকে নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় নানা গুঞ্জন এবং আলোচনা চলছে। তামিম ফিরবেন কিনা বা কবে ফিরবেন – এমন আলোচনাই সবচেয়ে বেশি হয়েছে। তবে তামিম ব্যাপারটি একেবারের জন্যই পরিষ্কার করেছেন। কিছু সময় আগে নিজের স্যোশাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তার চূড়ান্ত বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তার এই সিদ্ধান্ত তার ভক্তদের জন্য বিশাল এক ধাক্কাই বটে।

তামিম তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।”

এ সিদ্ধান্তের পেছনে থাকা কারণগুলো স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করারও চেষ্টা করেছেন তিনি। তিনি লিখেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে থাকায় তিনি চান না, তাকে নিয়ে কোনো ধরণের আলোচনা দলের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাক। তামিম বলেন, “এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি।”

তামিমের দীর্ঘ দিন যাবৎ চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যে কোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।”

বিশ্বকাপ ২০২৩-এর আগে ঘটা ঘটনাগুলো তার মনে বেশ দাগ কেটেছে। তিনি এই ব্যাপারেও খোলাসা করেছেন। তার বিদায়ের পেছনে বিসিবি বা কারও কোন হাত নেই এই ব্যাপারেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। এবং জানিয়েছেন তিনি নিজের মনের কথই শুনেছেন।

তিনি তার ছেলে আরহাম সম্পর্কে বলেন, “আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়।”

তামিমের এহেন সিদ্ধান্তে তার ভক্তরা অবশ্যই হতাশ হবেন। তবে তিনি তার স্ট্যাটাসের শেষে ছেলে আরহামের উদ্দেশে বলেছেন, “তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।”

বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবাল ৭৮টি টেস্ট, ২৪১টি ওয়ানডে, এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তার নামের পাশে রয়েছে অসংখ্য রেকর্ড, অসাধারণ ইনিংস এবং দেশকে গৌরবের পথে এগিয়ে নেওয়ার ইতিহাস। তামিম ইকবালের এই বিদায় শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটারের বিদায় নয়; এটি একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। তার প্রতি দেশের ভক্তদের ভালোবাসা এবং সম্মান চিরকাল অটুট থাকবে।

Google search engine