Google search engine

 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন স্টিভ স্মিথ। তবে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন এবং সুযোগ পেলে টি-টোয়েন্টিতেও খেলবেন।

SYDNEY, AUSTRALIA – MARCH 26: Steve Smith of Australia leaves the ground after being dismissed for 105 by Umesh Yadav of India during the 2015 Cricket World Cup Semi Final match between Australia and India at Sydney Cricket Ground on March 26, 2015 in Sydney, Australia. (Photo by Ryan Pierse/Getty Images)

৩৫ বছর বয়সী স্মিথ তার সতীর্থদের জানিয়েছেন যে এটি ছিল তার শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অধিনায়কত্ব করেন তিনি।

স্মিথ বলেন, “এটি অসাধারণ একটি যাত্রা ছিল এবং আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। দুটি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ হওয়া আমার জন্য অন্যতম সেরা অর্জন ছিল, আর অসাধারণ সব সতীর্থদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়াও দারুণ ব্যাপার।”

তিনি আরও বলেন, “এখন ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এসেছে, তাই আমি সরে দাঁড়ানোই যথাযথ মনে করছি।”

টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগী হতে চান স্মিথ। তিনি বলেন, “টেস্ট ক্রিকেট সবসময় আমার অগ্রাধিকারে থাকবে, আমি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, উইন্ডিজ সিরিজ এবং এরপর ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।”

স্মিথের ওয়ানডে ক্যারিয়ার:

মোট ম্যাচ: ১৭০

শতক: ১২ (শুধু পাঁচজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার তার চেয়ে বেশি শতক করেছেন)

বিশ্বকাপ জয়: ২০১৫, ২০২৩

সর্বোচ্চ অর্জন: ২০১৫ বিশ্বকাপে পাঁচটি টানা হাফ-সেঞ্চুরি, সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১০৫ রান, ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৬ রান

অধিনায়কত্ব: ৬৪ ম্যাচ

পুরস্কার: ২০১৫ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল, ২০১৪-১৫ এবং ২০২০-২১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওয়ানডে খেলোয়াড়

স্মিথ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি পরিকল্পনার অংশ নন, তবে তিনি ২০২৮ অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির প্রধান জর্জ বেইলি স্মিথের প্রশংসা করে বলেন, “স্মিথের ওয়ানডে ক্যারিয়ার সত্যিই অসাধারণ ছিল। তার ব্যাটিং দক্ষতা, ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য এবং নেতৃত্বগুণ তাকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ওডিআই ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দুটি বিশ্বকাপ জয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তার উত্তরাধিকারকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। আমরা তার এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সম্মান জানাই এবং তার টেস্ট ক্যারিয়ারে আরও সাফল্য দেখার অপেক্ষায় আছি। তার অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ় মানসিকতা অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।”

অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী ওডিআই সিরিজ আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নির্ধারিত রয়েছে।

Google search engine