
ক্রিকেট—একটি খেলা যা কখনো মধুর, কখনো বেদনার, আবার কখনো হৃদয়ের গভীরে গাঁথা বন্ধনের গল্প বয়ে আনে। এটি শুধু খেলা নয়, বলা হয়ে থাকে এটি ভদ্রলোকের খেলা। আর সেই সাথে অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে ঘটে যায় অনেক চমকপ্রদ ঘটনা।
ইস্পাহানি চট্টগ্রাম মাস্টার্স টি-২০ ক্রিকেট–২০২৫-এর ৫ম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং রয়্যালস ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে সিএম গোল্ডকে। সিএম গোল্ডের দেয়া ১২৪ রানের লক্ষ্য বেশ সাবলীলভাবেই অতিক্রম করে চিটাগং রয়্যালস।
শুক্রবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে সিএম গোল্ড। তবে শুরুতেই ওপেনারদের একে একে ফিরে যাওয়ায় শুরু থেকেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে তাদের ইনিংস। দলীয় মানসিকতার এই ভাঙনের সময় কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন মিনহাজ(৩০) , কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে সঠিক পার্টনারের অভাবে তাকে একাই লড়তে হয়। মাঝে হাফিজুরের (৩৬) কার্যকর ইনিংস কিছুটা ভরসা জোগায়। এর ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত সময়ের আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানের সংগ্রহে থামে সিএম গোল্ড।
চিটাগং রয়্যালসের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন রঞ্জিত দাস, যিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই সিএম গোল্ডকে কমসংখ্যক রানে আটকে রাখা সম্ভব হয়। অর্ধশত রানের আগেই ৪ উইকেট হারানোয় ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় এবং সিএম গোল্ডের আক্রমণভাগে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই একটি উইকেট হারালেও, দ্বিতীয় উইকেটে দলকে স্থিরতা এনে দেন ডালিম চৌধুরী (৩৮) ও সাকিব (৩০)। তাদের ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। ডালিম ফিরলেও বাকিরা খুব বেশি সময় না নিয়েই লক্ষ্য পূরণ করে জয় নিশ্চিত করে চিটাগং রয়্যালস। সিএম গোল্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন আমিন।
ম্যাচ শেষে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন রঞ্জিত দাস,যিনি নিঃসন্দেহে দলের জয়ের নায়ক।