Google search engine

 

আকাশ ভেঙে নামা বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে যখন খেলা মাঠে গড়ালো, তখন কেউ ভাবেনি—মাত্র ৫ ওভারের একটি ম্যাচও এতটা নাটকীয় হতে পারে। কিন্তু ক্রিকেটের সৌন্দর্য এখানেই—অপেক্ষার অবসান ঘটে শেষ বলেই!

চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ারস অ্যান্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ইস্পাহানি চট্টগ্রাম মাস্টার্স টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ২০২৫-এর শনিবারের প্রথম ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল টানটান উত্তেজনার এক মহারণ, যেখানে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দেয় ত্রিপল এস মাস্টার্সকে চিটাগাং রয়েলস!

চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে চিটাগাং রয়েলস। খেলা তখন মাত্র ৫ ওভারের, ঝুঁকি নিতেই হতো। ওপেনার ইস্তিয়াক আহমেদ ফিরে যান দ্রুত, কিন্তু এক প্রান্তে রুখে দাঁড়ান রয়েল দাস গুপ্ত। ১২ বলে ২৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ দাঁড় করান ৫ উইকেটে ৩৯ রানে। প্রতিপক্ষের বোলার সুজন দাস ছিলেন তীক্ষ্ণ—দখলে নেন ২টি উইকেট। বোলিং ফিগার ছিলো ১-০-৬-২

লক্ষ্য ছিল ছোট, কিন্তু মাঠের চাপ ছিল পাহাড়সম। ত্রিপল এস মাস্টার্সের ব্যাটিং শুরু হয় ধীরে, যেন সময়ই তাদের শত্রু। রয়েলসের বোলার প্রণব কুমার দাস যেন হয়ে উঠেছিলেন ব্যাটসম্যানদের দুঃস্বপ্ন—টানা ডট বল আর সুনির্দিষ্ট লাইনে বেঁধে রাখেন রানচাকা।

শেষ ওভারে ম্যাচ গড়ায় নাটকের চূড়ায়। দরকার ২ রান, হাতে মাত্র ১ বল। স্ট্রাইকে অধিনায়ক আবদুল আহাদ রিপন। চারপাশে নিস্তব্ধতা, দর্শকদের নিঃশ্বাস আটকে। রিপনের ব্যাট থেকে ভেসে ওঠে একটি উচ্চ ভেলাসিটি শট—সবাই ধরে নিলেন, ম্যাচ জিতেই যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু না! বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার বলটি তালুবন্দি করতেই আনন্দে ফেটে পড়ে চিটাগাং রয়েলসের শিবির!

ত্রিপল এস থামে ৩৮ রানে। জয় আসে মাত্র ১ রানে—তবে তার মূল্য এক মহাকাব্যের সমান।

ম্যাচসেরা রয়েল দাস গুপ্তের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির সাবেক সম্মানিত সম্পাদক আবদুল হান্নান আকবর

এই এক রানের জয় কেবল একটি ম্যাচ নয়, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ—যেখানে সময় ছিল কম, কিন্তু নাটকীয়তা ছিল সীমাহীন।

Google search engine