ক্যারিয়ারে প্রথমবার সেঞ্চুরি করলেন নারিন, গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে উড়ন্ত চুমু দিলেন শাহরুখ!
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। পরের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সেটাকে ছাড়িয়ে গিয়ে থেমেছিলেন ৮৫ রানে। তবে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া হয়নি। বিশ্ব জুড়ে মাতিয়ে বেড়ানো সুনীল নারিন টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০৩ ম্যাচ। জাদুকরী স্পিনে নিয়েছেন ৫৪০ উইকেট। ব্যাটিংয়ে করেছেন প্রায় ৪ হাজারের মতো রান। তবুও ক্যারিয়ারে নেই সেঞ্চুরি। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার না হলেও অবশেষে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারের দেখা পেলেন নারিন।
গৌতম গম্ভীর কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টরের দায়িত্ব নেয়ার পরই বদলে গেছেন নারিন। প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলছেন ওপেনিংয়ে। ফিল সল্টকে সঙ্গী করে এদিনও নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। তবে নারিনকে সঙ্গ দিতে পারেননি ইংলিশ ওপেনার সল্ট। তবে নিজে থেমে যাননি। রাজস্থানের বোলারদের বল দেখেশুনে জায়গা বুঝে কখনও চার আবারও কখনও সীমানা ছাড়া করেছেন ছক্কা মেরে। হাফ সেঞ্চুরিটা পেয়েছেন তাই ২৯ বলে।
পাওয়ার প্লে শেষ হলেই দম ফুরিয়ে যায় নারিনের। এমন অভিযোগকে এদিন ভুল প্রমাণিত করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার। ধারাভাষ্য কক্ষে বসে সেটা বারংবার মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন হার্শা ভোগলে। সেই সঙ্গে ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকারও জানালেন, এদিন এসব অভিযোগকে যেন তুরি মেরে উড়িয়ে দিলেন নারিন।
আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক, এবারের আসরেও তার চেয়ে বেশি উইকেট নেই কারও। তবুও যুবেন্দ্র চাহালকে অনায়াসে ছক্কা-চার মারছিলেন নারিন। শেষ পর্যন্ত নিজের ৫০৪ তম ম্যাচে এসে দেখা পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির দেখা। নারিন সেঞ্চুরি পেতেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বুকে টেনে নিলেন আন্দ্রে রাসেল।
মাঠের মাঝে সবসময় শান্ত শিষ্ট স্বভাবের নারিন অবশ্য এদিন নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। নিজের প্রথম সেঞ্চুরি বলেই হয়ত উদযাপন করলেন মনের মতো করে। নারিনের এমন অনবদ্য সেঞ্চুরি মাঠে বসে দেখেছেন শাহরুখ খান। গ্যালারি দাঁড়িয়ে হাত তালি দিলেন, নারিনের জন্য দু হাত ভরে পাঠিয়ে দিলেন উড়ন্ত চুমু। সেঞ্চুরির পর নারিন থেমেছেন ১০৯ রানে। তবে তার সেঞ্চুরি, রাঘুবংশীর ৩০ ও শেষের দিকে রিংকু সিংয়ের ২০ রানে কেকেআর পায় ২২৩ রানের পুঁজি।
লক্ষ্য তাড়ায় জয়সাওয়াল ফিরেছেন ৯ বলে ১৯ রান করে। তিনে নামা সাঞ্জু স্যামসন করতে পারেননি ১২ রানের বেশি। এরপর রাজস্থানকে টানতে থাকেন জস বাটলার ও রিয়ান পরাগ।
শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করে দলকে জিতালেন জস বাটলার। ৬০ বলে ৯টি চার ও ৬ ছক্কায় ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার।
২ উইকেটে জয় পায় রাজেস্থান রয়েলস। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ জস বাটলার
কলকাতা ২২৩/৬
রাজেস্থান ২২৪/৮