চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আলো হাসান। ১১ জানুয়ারি বিসিবি বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং নিষেদ্ধাজ্ঞা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা।
গত বছর পাকিস্তান সফর শেষে সাকিব ইংল্যান্ডে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও ম্যাচ শেষে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ ওঠে। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ, দ্য হান্ড্রেড বা ইসিবির যেকোনো ম্যাচে খেলার জন্য তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বলা হয়।
ডিসেম্বরের শুরুতে ইংল্যান্ডের লাফবরো ইউনিভার্সিটিতে প্রথম পরীক্ষা দেন সাকিব। সেখানে বেশ কয়েক ওভার বোলিং করেও উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের শ্রী রমাচন্দ্র সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্সে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন তিনি। তবে সেখানেও ফলাফল ছিল নেতিবাচক। ইসিবির রায় অনুযায়ী, তার বোলিং এখন নিষিদ্ধ।
আইসিসি নিয়ম অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর যদি আবারও তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকতে হবে।
১২ জানুয়ারি বিসিবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করবে। গুঞ্জন ছিল, বোলিং অ্যাকশন শুধরে নিলে সাকিবকে দলে নেয়া হতে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা নেই। ব্যাটার হিসেবে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার সুযোগও খুব কম।
সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এখন তাকে বোলিং অ্যাকশন শুধরে আরও পরীক্ষা দিয়ে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।