
ক্রিকেটের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়াকে জায়ান্ট বলা হয়। বড় আসরে অস্ট্রেলিয়া সবসময় হট ফেভারিট। আর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণও তারা পারফরম্যান্স দিয়ে সবসময় দিয়েছে। ইনজুরিজনিত কারণে একাধিক মূল তারকা অজি ক্রিকেটার টুর্নামেন্টে অনুপস্থিত, স্টার্ক ব্যক্তিগত কারণে দলের বাইরে, স্টয়নিস আচমকা অবসর নিয়েছেন— তবুও অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়া! এত তারকার অনুপ্রস্থিতিতেও যেন কিছুই হয়নি। ম্যাচের ফলাফল বলছে, তারা কেবল খেলেনি, ইংল্যান্ডকে রীতিমতো শাসন করেছে।
রেকর্ড রান তাড়া করে জয়
ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৫১ রান সংগ্রহ করে। জয়ের জন্য অজিদের সামনে বিশাল লক্ষ্য! কিন্তু অজিরা কখনো দমে যায় না। ১৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হোঁচট খেলেও জশ ইংলিস ও অ্যালেক্স ক্যারির ১১৬ বলে ১৪৬ রানের দুর্দান্ত জুটি নিশ্চিত করে রেকর্ড গড়া জয়। মাত্র ৪৭.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৬ রান তুলে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে অজিরা।
জশ ইংলিস: কেন তাকে এত সম্মান করা হয়, আজ বুঝলো বিশ্ব
এই ম্যাচে আইসিসি টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়েছে অজিরা। তবে এই রেকর্ডের মূল নায়ক উইকেটরক্ষক জশ ইংলিস। সতীর্থরা কেন তাকে সবসময় এত সমীহ করেন, তার ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে এই ম্যাচে। শর্ট ডেলিভারিগুলোকে সামলানোর দুর্দান্ত সেন্স, দ্রুত লেংথ বুঝে অসাধারণ পুল আর হুক শট, দারুণ ছিলো।
রিভার্স স্কুপ কিংবা রিভার্স ল্যাপকে সাধারণ শট ভাবা হলেও, ইংলিসের শটগুলোতে অনুভব করা আত্মবিশ্বাস আর নিখুঁত টেকনিক যেন চোখের প্রশান্তি। ক্যারির সাথে তার পার্টনারশিপ এককথায় অসাধারণ প্রদর্শনী।
অস্ট্রেলিয়ান মানসিকতা: কেন তারা আলাদা
৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও দুর্দান্ত সেন্সে ম্যাচ বের করে নেওয়ার সামর্থ্য, ঠাণ্ডা মাথায় খেলা শেষ করে আসার মানসিকতা— এটাই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের আসল শক্তি। কঠিন সময়েও দল ভেঙে পড়ে না, বরং নতুন করে কেউ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়।
এই দল নিয়ে অজিরা এই টুর্নামেন্টে কত দূর যেতে পারবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে অজিদের কেন ক্রিকেটের পরাশক্তি বলা হয় তার প্রমাণ আজ বেশ ভালোই মিলেছে।