বাংলাদেশ ক্রিকেট রূপকথার শুরুটা খুব একটা গোছালো ছিলনা। তিলে তিলে একটু একটু করে আমাদের পূর্বসূরিরা এগিয়ে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। প্রথম সবকিছুই বিশেষ কিছু। তেমনি প্রথম জয় স্মৃতির ক্যানভাসে আঁকা। আর এর পিছনে যেসব মানুষের পরিশ্রম ছিল একেকজন আমাদের কাছে মহানায়ক।
স্বভাবতই বাংলাদেশিদের কাছে ক্রিকেট আবেগের বড় একটা জায়গা। অনেকের কাছে জীয়ন রস। শত ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আজকের অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
যখন এখানকার সমর্থকেরা জয় নামক সোনার হরিণের নাগাল পাচ্ছিলনা এমন সময়ে তিলে তিলে ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার পিছনের কারিগররা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এবং আমাদের দিয়েছেন মধুর কিছু স্মৃতি। যা সযত্নে তুলে রাখা আছে স্মৃতির খামে। তার মাঝে অন্যতম স্মৃতি বাংলাদেশের প্রথম আইসিসি ট্রফি জয়। যে জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দেখিয়েছে পথের দিশা। সাহস দিয়েছে সামনে এগুনোর। যা সুখস্মৃতিতে গাঁথা আমরণ।
দিনটি ছিল ১৯৯৭ সালের ১৩ই এপ্রিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঐতিহাসিক এক দিন। এদিনের পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বদলে যেতে থাকে। যদিওবা ম্যাচ শুরু হয় ১২ই এপ্রিল। তবে বৃষ্টির বাঁধায় কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি গড়ায় রিজার্ভ ডে পর্যন্ত।
মালেশিয়ার কুয়ালালামপুরে সেদিন কেনিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস সেই ম্যাচে ২উইকেটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। সেদিন শেষ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১ রান। একপ্রান্তে বল হাতে ছিলেন কেনিয়ার টনি সুজি। আর অন্যপ্রান্তে স্ট্রাইকে ছিলেন হাসিবুল হোসেন শান্ত। বল হাতে তেড়ে এলেন টনি। আর বল ব্যাটে লাগিয়েই শান্ত আর পাইলটের দু’প্রান্তে ভৌ-দৌড়। রান নেওয়ার পরপরই উল্লাসে ফেটে পড়া।
এরপর ড্রেসিংরুম থেকে সবাই এসে যোগ দেন উল্লাসে। বাংলাদেশের প্রথম আইসিসি ট্রফি জয়। আর জয়ের নায়ক শান্ত। এরপর বাংলাদেশ ১৯৯৯ বিশ্বকাপের টিকিট পায়, সবশেষ ২০০০ সালে পদয় টেস্ট খেলার মর্যাদা। আজ সেদিনের সেই ১বলে ১ রান নেওয়া মহারথীর জন্মদিন। ১৯৭৭ সালে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা রইল।