এশিয়া কাপ নিয়ে রঙ্গ চলছেই। এরই মাঝে বেশ কয়েকবার সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে পিসিবির হাইব্রিড মডেলে রাজি এসিসি। ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রিকইনফো এমনটা প্রকাশ করেছে। এক্ষেত্রে এশিয়া কাপে যৌথ আয়োজক হিসেবে থাকবে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা।
পূর্ব নির্ধারিতভাবেই সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। যার প্রথম ৪/৫টি ম্যাচ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের ভেন্যু হিসেবে ব্যাবহৃত হবে লাহোর। বাকি ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে।
এসিসির সূচী মতে সবগুলো ম্যাচ পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝখানে বাঁধ সাধে বিসিসিআই। এরপর শুরু হয় দু’পক্ষের পাল্টা মন্তব্য ছোড়াছুড়ি। ভেন্যু জটিলতায় বারংবার পেছানো হয় সিদ্ধান্ত।
শোনা গেছে বিসিসিআই এর কাছ থেকে এশিয়া কাপের পরিবর্তে পাঁচ দলের সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব ও দেওয়া হয়েছিল। পাল্টা আক্রমণ হিসেবে পিসিবি হুমকি দেয় বিসিসিআইকে। তারা জানায়, ভারত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ না খেললে তারাও ভারতের মাটিতে ২০২৩ বিশ্বকাপ বর্জন করবে।
এরপর পাকিস্তান হাইব্রিড মডেল প্রস্তাব রাখে। এই মডেল অনুযায়ী, ভারতের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ম্যাচগুলো পাকিস্তানে হবে। ভারত শুরুতে এই মডেলে সায় দিলেও পরে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
এরপর শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করে। পাকিস্তান যার পরিবর্তে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। আগামি মাসে শ্রীলঙ্কার প্রস্তাবকৃত ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যেতে রাজি নয় পিসিবি।
আগামি জুলাইতে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। ম্যাচ দুটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। টেস্টের পর পাকিস্তানকে তিন ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
জিম্বাবুয়েতে বাছাইপর্বের পর শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ওয়ানডে সিরিজ খেলতে চায়। যার প্রস্তাব আগেভাগেই দিয়ে রেখেছে তারা।
গণমাধ্যমের সূত্রমতে, পাকিস্তান সিরিজটি খেলতে প্রথমে রাজি হলেও পরে সরে দাঁড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করাতেই পিসিবি নারাজ হয়েছে। যে কারণে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় তারা।