রায়ার্ন বার্লের আউটের পর জিম্বাবুয়ের সামনে যেন হতাশা ধেয়ে আসছিল। সবার চোখেমুখে হতাশা স্পষ্ট ছিল। মনে হচ্ছিল এবারের যাত্রা বোধহয় এখানেই শেষ। হলোও তাই। স্কটল্যান্ডের কাছে ৩১ রানে পরাজিত হয়ে ভারত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে জিম্বাবুয়ে।
২০১৯ সালের পর আবারও ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল জিম্বাবুয়ে। এরই সাথে শ্রীলঙ্কার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের যাওয়ার দৌড়ে টিকে রইল স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস।
জয়ের জন্য ২৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শূন্য রানে ফিরেন গাম্বি। ক্রেইগ আরভিনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
ছন্দে থাকা শন উইলিয়ামসও ইনিংস বড় করতে পারেনি। এরপর ইনোসেন্ট কাইয়া আউট হলে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারে ধস নামে। এরপর রাজা ও বার্ল জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে ফিরানোর চেষ্টা করে। বেশ ভালোভাবেই আগাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। দুর্ভাগ্যবশত ক্রিসকে মারতে গিয়ে ৩৪ রান করে ফিরেন রাজা।
এরপর ওয়েসলে মাধেভেরেকে সঙ্গে নিয়ে জিম্বাবুয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন বার্ল। ৫৩ বলে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। তবে ছন্দে থাকা মাধেভেরে ৪০ রানে আউট হলে আবারও বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর ব্যর্থ হয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং রিচার্ড এনগারাভারাও। ৮ উইকেট হারানোর পর লিস্ককে মারতে গিয়ে ফিরেন বার্লও।
শেষ জুটিতে ব্লেসিং মুজারাবানি ও টেন্ডাই চাতারা মিলে কেবল ৬ রান যোগ করতে সক্ষম হন। চাতারা বোল্ড হলে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। স্কটল্যান্ডের হয়ে সোলে তিনটি, ম্যাকমালেন আর লিস্ক নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তোলে স্কটল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন লিস্ক। এ ছাড়া ক্রস ৩৮, ম্যাকমালেন ৩৪, জর্জ মানজি ৩১ এবং ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইড ২৮ রান করেছেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে উইলিয়ামস তিনটি এবং চাতারা নিয়েছেন দুটি উইকেট।