বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪২ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের দেয়া ৩৩১ রানের জবাবে ১৮৯ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
এই ম্যাচে জেতার পর ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হেরেছিল টাইগাররা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। মুজিবের বলে লিটন একবার আউট হতে গিয়ে আবার জীবন পেলেও খানিক পরেই ফিরেছেন ফারুকির বলে। পরবর্তী ওভারে শান্ত ফিরেন মুজিবের বলে। মাত্র ১ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে।
ব্যাট হাসেনি নাঈম শেখেরও। ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৯ রানে। এরপর হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়েন সাকিব। যদিও এই ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন হৃদয়। ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১৬ রানে। পরের ওভারে সাকিবও ফিরেন ২৫ রান করে।
এরপর ক্রিজে আসেন আফিফ। কিন্তু রশিদের ফাঁদে পড়ে মাত্র ১ রানে ফিরেন আফিফ। সপ্তম উইকেট মুশফিক-মিরাজ দলের হাল ধরেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে অর্ধশতকের ইনিংস খেলেন মুশফিক। এরপর মিরাজ ফিরলে ৮৭ রানের এই জুটি ভাঙে। ৪৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। এরপর হাসানও ফিরেছেন মুজিবের আঘাতে।
শেষ দিকে ফারুকির বলে মুশফিক ফিরলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। ইবাদত হোসেন পায়ের চোটের কারণে ব্যাটিংয়েই নামতে পারেননি। আফগানিস্তান ১৪২ রানে জয় পায়।
এর আগে টসে জিতে বোলিং নেয় লিটন দাস। তামিম না থাকাতে এই ম্যাচে বাংলাদেশ লিটনের অধীনে খেলেছে। মুস্তাফিজের হাতে শুরুতে বল তুলে দেওয়া হয়। যদিও সুবিধা করতে পারেননি মুস্তাফিজ। এই ম্যাচে মলিন ছিলেন হাসান-এবাদতরাও। যার ফলে আফগানরা দারুণ শুরু পায়।
দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান বেশ ভালোভাবেই আগাচ্ছিলেন। পাওয়ারপ্লেতে কোন উইকেট ছাড়াই ৬৭ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা। পাওয়ার প্লের আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচ মিসের ফলে সময়ের আগেই থামানো যায়নি এই ব্যাটারদের।
দুই ওপেনার শক্ত ভিত গড়ে দেন। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বেশ দ্রুতই আগাচ্ছিল আফগানরা। বাংলাদেশ তখন উইকেটের জন্য হাহাকার করছিল। বার বার বোলিং পরিবর্তন করেও কোন লাভ হচ্ছিলনা।
দেখতে দেখতে গুরবাজের ব্যাটে শতক আসে। এরপর আগ্রাসী হয়ে উঠেন গুরবাজ। প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি পাড় করছিলেন। গুরবাজকে ১৪৫ রানে থামান সাকিব। ২৫ বল মোকাবিলায় ১৩ টি চার ও ৮ ছক্কায় ১৪৫ রান নেন গুরবাজ।
আফগানিস্তানের ২৫৬ রানের রেকর্ড ওপেনিং জুটি ভাঙে গুরবাজ ফেরার পর। এরপর রহমত শাহ আসলে তাকে দ্রুত ফেরান এবাদত। ইনিংস টিকেনি হাশমতউল্লাহ শহিদীরও। ফিরেছেন মিরাজের ওভারে। এরপর মিরাজ ফেরান নাজিবউল্লাহ জাদরানকেও। একপাশে তখনও ব্যাট করে যাচ্ছেন ইব্রাহিম। তার ব্যাটে শতক আসে।
শতকের পর মুস্তাফিজের বলে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ইব্রাহিম। শেষ দিকে নবি ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩৩১ রানের বর পুঁজি পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজ, সাকিব এবং হাসান।