বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ১২৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান।
শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় আফগানরা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই রান খরায় ভুগছিল আফগানরা। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩ রান যোগ করেই প্রথম দুটি উইকেট হারায় আফগানরা। তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট দুটি তুলে নেন শরীফুল।
মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইবরাহিম জাদরান এবং রহমত শাহ। এরপর ম্যাচে ফিরতে চাইলেও ব্যর্থ হয় আফগানরা। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে টাইগাররা শুরু থেকেই চেপে ধরেছিল আফগানদের। দুর্দান্ত বোলিং স্পেলে আফগানদের রানের চাকা আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ।
ষষ্ঠ ওভারে তাসকিনের আঘাতে দলীয় ১৪ রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৯ম ওভারে আবারও শরীফুলের আঘাত আফগান শিবিরে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ করে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন মোহাম্মদ নবী।
সঙ্গী হারিয়ে নাজিবুল্লাহকে নিয়ে হাশমতউল্লাহ শাহিদী মন্থর গতিতে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ১৬তম ওভারে সাকিবের আঘাতে নাজিবুল্লাহ ফিরেন। ক্রিজে আসেন আজমতউল্লাহ। নতুন করে তাকে নিয়ে এগুতে থাকেন হাশমতউল্লাহ। যদিও টাইগার বোলারদের চাপে রানের চাকা তখনও মন্থর গতিতেই চলছে।
২২তম ওভারে দলীয় অর্ধশতরান পেরিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ। এরপর মাত্র ১৫ রান যোগ করে ফিরেছেন এই ম্যাচে অভিষিক্ত হওয়া আবদুর রহমান।
সঙ্গী হারিয়ে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে নতুন করে জুটি গড়েন আজমত উল্লাহ। এই জুটি স্কোরবোর্ডে মাত্র ২ রান যোগ করে। ৩৬তম ওভারে তাইজুলের আঘাতে জিয়াউর রহমান ফিরেন। নতুন জুটিতে ৩৬ রান যোগ করে মুজিব ফিরেন। পরবর্তী ওভারে একই পথে হাঁটেন আজমতউল্লাহ।
দলের বাকিদের মাঝে কেবল আজমতউল্লাহর ব্যাটে অর্ধশতক এসেছে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন শরীফুল।