আফগানদের ৮৯ রানে পরাজিত করে সুপার ফোরের দিকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়স ৩৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৪৫ রানেই থেমেছে আফগানদের ইনিংস।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। শুরুতেই শরীফুলের আঘাতে ওপেনার গুরবাজ ফিরেন। ২য় উইকেটে যদিও ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। ৭৮ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন তাসকিন। এরপর হাসমতউল্লাহ শহীদিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইব্রাহীম জাদরান।
ইবরাহিমকে ফিরিয়ে ৫২ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। যদিও একপ্রান্ত আগলে রাখেন শহীদি। নাজিবউল্লাহকে নিয়ে ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। মিরাজ নাজিবউল্লাহকে ফেরানোর পর শহীদিকে শরিফুল ফেরালে বাংলাদেশের পক্ষে আসে ইনিংস। এরপর আর কেউ ক্রিজে বেশিক্ষণ ঠেকেনি। আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ২৪৫ রানে।
দলের হয়ে ৪উইকেট নেন তাসকিন, ৩ উইকেট নেন শরিফুল। ১টি করে উইকেট নেন হাসান এবং মিরাজ।
এর আগে বাংলাদেশ আজ ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। নাঈমও মোটামুটি ভালো শুরু করেন। পাওয়ার প্লের পর মুজিবের আঘাতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাঈম (২৮)। এরপর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি হৃদয়ও। দ্রুত ২ উইকেট পড়ার পর মিরাজ-শান্ত মিলে জুটি গড়েন। এই জুটিতে বড় পার্টনারশিপ আসে। দুজনের ব্যাটেই শতক আসে।
এর মাঝে দুবার লাইফ পান শান্ত। ১১৫ বলে শতক করেন মিরাজ। শতকের পর অবশ্য রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। এরপর মুশফিককে নিয়ে ১০১ বলে শতক পূর্ণ করেন শান্ত। শতকের পর শান্তও ফিরেন। শেষ দিকে সাকিব-মুশফিক জুটি গড়লেও ২৫ রানেই ফিরেছেন মুশফিক। শামীমকে নিশে সাকিব শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ দলের ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩৩ রান।
দলের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মুজিব এবং গুলবাদিন।