![Google search engine](https://www.wordstream.com/wp-content/uploads/2021/07/banner-ads-examples-ncino.jpg)
এবারের আসর জয় দিয়ে শুরু। এর চেয়ে মধুর আর কি হতে পারে? আসরে এ পর্যন্ত সময়ে সর্বনিম্ন স্কোরও এটি। এত কম সময়ে আফগানদের ধ্বসিয়ে দেওয়া যাবে সেটাও কল্পনা ছিলোনা। আফগানদের ভালোভাবে দাঁড়াতেই দেননি সাকিব-মিরাজরা। নিজেদের সর্বোচ্চ ঢেলে দিয়ে আটকেছেন। যার ফলে জয় এসেছে বাংলাদেশের পক্ষেই।
বিধাতাও সহায় ছিলেন। সাথে সবার দৃঢ় প্রচেষ্টা ছিল। যার ফলে এসেছে কাঙ্ক্ষিত জয়। ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নিজেদের আবারও প্রতিরুদ্ধ হিসেবে প্রমাণ করেন টাইগার বাহিনী। যার ফলে ২পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
আফগানদের হয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন তাদের দুই ওপেনার। কিন্তু এই জুটিতে আঘাত হানেন অধিনায়ক সাকিব। দলের সংগ্রহ তখনও পঞ্চাশের ঘর পেরোয়নি আফগানদের। এরপর দ্বিতীয় উইকেটটি আসে ১৬তম ওভারে।
এরপর আবারও জুটি গড়ার চেষ্টা করে আফগানরা। কিন্তু কোনরকমে দুই অঙ্কের ঘরে গিয়েই আটকা পড়ছিল সবাই। গুরবাজ, ইবরাহিম এবং আজমতউল্লাহ বাদে বাকিরা কেউ বিশের ঘর পেরোয়নি। যার ফলে ৩৮তম ওভারেই ১৫৬ রানে থেমেছে আফগানদের ইনিংস।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই থাকার কথা ছিল টাইগারদের। কিন্তু ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হন বড় কোন পার্টনারশিপ গড়তে। ক্রিজে নেমে মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়েন শান্ত। এই জুটিই মূলত দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেয়। ৫৭ রানের ইনিংস খেলে মিরাজ ফিরলে এই জুটি ভাঙে। মিরাজের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে মিরাজ হয়েছেন ম্যাচসেরা। এ যেন এক অন্য মিরাজ।
অধিনায়ক সাকিবও ফিরেছেন দ্রুতই। তবে জয় তখন হাতের মুঠোয় অনেকটা। শান্তর ক্রিজ আঁকড়ে থাকার দৃঢ় মানসিকতায় মুশফিককে নিয়ে শেষ বাউন্ডারিটা দিয়েই দলের জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। বাংলাদেশ ৬ উইকেটের জয় পায়।
উইকেটের জন্য এদিন রীতিমতো হাহাকার করেছেন আফগান বোলাররা। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা যেন ছিলেম প্রতিরুদ্ধ। আসরের শুরুটা জয় দিয়ে করে নিজেদের মনোবল বৃদ্ধি করলেন টাইগাররা। এরপরও যেন সমর্থকদের মনে কিছুটা খুঁত রয়েই গেলো। ইশশ্! আরেকটু সময় খেলাটা গড়াতো। খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলোযে। ভালোভাবে উপভোগই করতে পারলাম না।
এমন সময় বারেবারে আসুক ফিরে। রান যতই হোকনা কেন, আর প্রতিপক্ষ যেই আসুক না কেন। জয়টা যেন আমাদের পক্ষেই আসে। এই প্রত্যাশা যেন কোটি লাল-সবুজ প্রেমীর। কিছু আক্ষেপ, কিছু অভিমান থাকবেই। এরপরও সব ছাড়িয়ে লাল-সবুজের জয়গানে মুখরিত হব আমরা সবাই। হওয়াই উচিত।