টেবিল টপার ছিলো রংপুর রাইডার্স। দুইয়ে ছিলো কুমিল্লা। তবে কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে টপকে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রংপুরকে ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে কুমিল্লা। টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থান থেকে সরাসরি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিটন দাসের দল।
তবে রংপুরের জন্য দ্বিতীয় সুযোগ রয়েছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে সাকিবের রংপুর।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন নিশাম। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় পায় কুমিল্লা।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। শুরুতেই ফিরেন সুনীল নারাইন। দ্বিতীয় জুটিতে লিটনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন হৃদয়। লিটন দেখেশুনে খেলতে থাকলেও হৃদয় আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছিলো। ব্যাক্তিগত ৬৪ রানের ইনিংস খেলে হৃদয় ফিরলে ১৪৩ রানের জুটিটি ভাঙে। ততক্ষণে অবশ্য ফলাফল কুমিল্লার পক্ষে।
এরপর বাকিরা খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও লিটনের ৮৩ রানের ইনিংস দলের জয় অনেকটা সহজ করে দেয়। রাসেল-মঈন জুটি দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। শামীম হোসাইন ফিরেন শূন্য রানে। রানের খাতা বাড়েনি সাকিবেরও। টপ অর্ডার থেকে খুব একটা সুবিধা পায়নি রংপুর। তবে ৫ নাম্বারে নেমে নিশাম দলের হাল ধরেন। যদিও নিশাম ছাড়া বাকিরা কেউ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।
নিশাম অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া কেবল সোহানের ব্যাটে ৩০ রান আসে। বাকিরা কেউ সুবিধা করতে পারেনি৷ সবশেষে রংপুরের ইনিংস থামে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানে।
কুমিল্লার হয়ে রাসেল ২ উইকেট নেন। বর্ষন, তানভীর, মুশফিক এবং নারাইন ১টি করে উইকেট নেন।