বাংলাদেশ দলের এই উদ্দীপ্ত অবস্থাই সবাই আশা করে। দায়িত্ব নিয়ে তরুণদের হাল ধরা। সাথে সিনিয়রদের সাহচর্য। আর কি চাই? যদিওবা টপ অর্ডারের ভূমিকা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু টপ অর্ডারই বোধহয় সবচেয়ে বেশি হতাশায় ভোগায়। কিন্তু দিনশেষে আমরা প্রশান্তি খুঁজে নেই এমন সব ইনিংস দেখে।
বেশ ভালো একটা ইনিংস উপহার দিয়েছেন গতকাল শান্ত এবং মুশফিক। টি-২০ সিরিজে হারের পর চট্টগ্রামে ওয়ানডেতে জয় দিয়ে শুরু করা। চট্টগ্রাম বরাবরই বাংলাদেশের জন্য শাপে ভর হয়ে আসে। তাই চট্টগ্রামে ম্যাচের ব্যাপারটাই আলাদা।
শান্তর দুর্দান্তভাবে গুছিয়ে ইনিংস আগানো সাথে মুশফিকের গোছানো ইনিংস। দু’জনের সেট হয়ে যাওয়া এবং দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে চমৎকার জয় উপহার দেওয়া। টপ অর্ডারের বোধহয় আরেকটু যত্নশীল হওয়া উচিত। বিশেষত ওপেনিংয়ে ভাল একটা ইনিংস দলের সাহস বাড়িয়ে দেয়। বাকিদের উপর বাড়তি চাপ ফেলেনা। এক্ষেত্রে ওপেনিংয়ে একটা ভালো শুরু অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
যদিওবা আমাদের ওপেনিং বরাবরই আফসোসে ভোগায়৷ এর থেকে পরিক্রাণের উপায়ও বোধহয় জানা নেই কারো। তবে অধিনায়কের এমন দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস শেষ করা নতুন করে ভরসা জাগায়। গতকালের দুটো ইনিংস নিয়েই কথা বলা উচিত। শুরুর দিকে অবস্থা দেখে যেখানে লঙ্কানদের ৩০০ এর অধিক সংগ্রহ হওয়ার আভাস দিচ্ছিলো তখন বোলারদের দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস ছোট করা এবং মোটামুটি চেজ করার মতো একটা লক্ষ্যে তাদের আটকে দেয়া প্রশংসার দাবিদার।
জয়ের লক্ষ্য চেজ করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও অধিনায়কের ক্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া আর সুন্দর একটা ইনিংস উপহার দেওয়া। যা দলের জয় যেমন সহজ করে দেয়। তেমনি মিডলে সিনিয়র কারও সঙ্গ দেওয়া দলের সাহস এবং অপরপাশের ব্যাটারের শক্তিমত্তা আরও বাড়িয়ে দেয়। এমন অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ দল সবাইকে মুগ্ধ করে।
ওপেনিংয়ে লিটন-সৌম্যের ব্যর্থতা কিছুটা কষ্ট দিলেও রিয়াদকে নিয়ে শান্তর হাল ধরা পরবর্তীতে আবার মুশফিককে নিয়ে দায়িত্বশীল একটা ইনিংস খেলা ম্যাচে পূর্ণতা এনে দিয়েছে। শান্ত যেমন অধিনায়ক হিসেবে ত্রাণকর্তা হয়ে এসেছেন। তেমনি রিয়াদের ক্যামিও আর মুশফিক বরাবরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের জাত চিনিয়ে দেন। এই ম্যাচেও যোগ্য সিনিয়রের ভূমিকাই পালন করেছেন।
ওয়ানডের শুরুটা জয় দিয়ে হলো। মাঠটা চট্টগ্রামের মাটিতে। সে হিসেবে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা রাখাই যায়। বাকিটা সবার একাগ্রতা এবং সময়ের উপর নির্ভরশীল।