জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর আইপিএলের। প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজ জাদুতে জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাঝারি সংগ্রহেই আটকে গেছে কোহলির দল।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও চতুর্থ ওভারে ইয়াশ দয়ালের আঘাতে গ্রীনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ঋতুরাজ। নতুন করে রাহানেকে নিয়ে গড়া রাচীনের ৩৩ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন কর্ন শর্মা। রাহানের ইনিংসও বেশিক্ষণ আগায়নি। ফিরেছেন ২৭ রানে। মিচেলও ফিরেন ২২ রানে।
শেষদিকে জাদেজাকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন শিভম দুবে। শিভম অপরাজিত ৩৪ এবং জাদেজা ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। ৮ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় পায়৷ চেন্নাই। দলের হয়ে ২টি উইকেট নেন গ্রীন। ইয়াশ এবং কর্ন নেন ১টি করে উইকেট।
শুক্রবার টসে জিতে ব্যাটিং নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে ব্যাঙ্গালোর। বিপত্তি ঘটে মুস্তাফিজের ওভারে। ৫ম ওভারে বল হাতে নেমে মুস্তাফিজ নিজের করা প্রথম ওভারেই পরপর তৃতীয় এবং ষষ্ঠ বলে তুলে নেন দু’টি উইকেট। ডু প্লেসিস ফেরেন ৩৫ রানে। আর রজত পাতিদার ফিরেন রানের খাতা খোলার আগেই।
অথচ আসরের শুরুতে মুস্তাফিজের খেলা নিয়েই ছিলো সবার মনে সংশয়। সবকিছুকে দূরে ঠেলে মুস্তাফিজ খেলেছেন এবং নিজের দুর্দান্ত স্পেল দেখিয়েছেন। ব্যাপারটা এখানেই থামতে পারতো। কিন্তু মুস্তার যেন তর সইছিলোনা। ১২তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মুস্তাফিজ। এবারও দ্বিতীয় এবং চতুর্থ বলে তুলে নেন দু’টি উইকেট। কোহলি ২১ রানে এবং গ্রীন ১৮ রানে ফিরেন।
এর আগে দীপক ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান রানের খাতা খোলার আগেই। ষষ্ঠ উইকেটে কার্তিককে নিয়ে জুটি গড়েন অনুজ রাওয়াত। এই জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় ব্যাঙ্গালোর। শেষ বলে অনুজের উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালোর। অনুজ ৪৮ রানে ফিরেন। এবং কার্তিক ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন মুস্তাফিজ।