বিশ্বকাপের তোরজোর শুরু হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ যেন এখনো কাঁচা। সমীকরণ মিলছেনা কোনভাবেই। পরাজয়ের বৃত্তে যেন আটকে গেছে কঠিনভাবে।
রবিবার ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে ৬০ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। শেষটা হয়তো আরও সুন্দর হতে পারতো। কিন্তু একের পর এক ব্যাটারদের ব্যার্থতা যেন জানান দিচ্ছিলো এখনো অনেকটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
১৭,০,৬,০,১৩,২৮…। এগুলো কোন মোবাইল নাম্বারের ডিজিট নয়। এই হলো বাংলাদেশের টপ অর্ডারের অবস্থা। দিনশেষে শুধু যেন রিয়াদের ব্যাটই কিছুটা হেসেছে। তবে বাকিদের অবস্থা বেশ শোচনীয়। একটি দলের জয়ে টপ অর্ডারের সাপোর্ট অনেক বেশি কাজে দেয়। কিন্তু সেই টপ অর্ডারই যখন ব্যর্থ হয় তখন পরাজয় অনিবার্য।
একেরপর এক ফিরে যাওয়ার এই মিছিল পুরোনো কোনো ব্যাপার নয়। তবে দুঃখের বিষয় হলো এই সময়ে এসেও তারুণ্য নির্ভর এই টিম এখনো যেন সিনিয়রদের উপরেই ভরসা করে চেয়ে থাকে। কবে কেউ এসে দলের হাল ধরবেন। তবে কিছু তরুণ তারুণ্যের ঝলকানি দেখিয়েছেন। কিন্তু দলের গুরু দায়িত্ব যার কাঁধে সেই অধিনায়কেই যেন সবচেয়ে বেশি ম্যাড়মেড়ে দেখা যাচ্ছে।
কোনভাবেই যেন ক্লিক করতে পারছেন না শান্ত। আজও ফিরেছেন শূন্য রান করে। ক্লাসি ব্যাটার খ্যাত লিটন দাসও যেন ব্যর্থ আবারও চরমভাবে। আজ ফিরেছেন মাত্র ৬ রানে। এতে যদিও শূন্য রানে ফেরার লজ্জা থেকে তিনি রেহাই পেয়েছেন। তবে ফলাফল সেই হতাশাজনকই। বিদেশযাত্রার আগে যেই সৌম্যকে ঘিরে শত পরিকল্পনা ছিলো সেই সৌম্যও ব্যর্থ ফিরেছেন শূন্য রানে। বাকিদের বর্ণনায় বরং নাইবা গেলাম।
বিদেশের মাটিতে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স বারংবার ব্যাথিত করে ক্রীড়ামোদী এই জাতিকে। তারপরও সবার মনের কোণে একটুকু আশা দানা বাঁধে একদিন আমরা ভালো কিছু করবো। আর সেই স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে যায়।
অন্যদিকে ভারত পুরোনো বন্ধুকে বেশ ভালোভাবেই দেখিয়েছেন ওয়ার্ম-আপ হলেও তারা ফাইট দিয়েছে। যদিও শুরুর ভাগে পথ হারিয়েছিলো ভারত। তবে ঋষভের ৫৩ আর হার্দিকের ৪০ রানের ইনিংস ভারতকে মোটামুটি ১৮২ রানের সম্মানজনক সংগ্রহই দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ যেন কোনরকমে শতরান পেরিয়েই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। যার ফলে এসেছে ৬০ রানের ব্যবধানে পরাজয়।
বিশ্বকাপের পর্দা নামবে আজ ২ জুন। তবে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তন হবে কিনা তা কেবল সময়ই বলে দিবে। তবে বুকভরা আশা নিয়ে ভাবাই যায় আমরাও পারি, আমরাও পারবো। বাকিটা কেবল সময়ের অপেক্ষা।