Google search engine

 

বলা হয়ে থাকে ক্রিকেট দলীয় খেলা। আসলেই তাই হয়ে থাকে। ক্রিকেট আনপ্রেডিক্টেবল। যেকোন মুহূর্তেই যা কিছু ঘটে যেতে পারে। কয়েকটা মোমেন্টে পাল্টে দিতে পারে ম্যাচের মোড়। বারংবার এটা প্রমাণিত হয়ে এসেছে। যখনই বাংলাদেশ দলের সবাই মিলে লড়েছে তখনই বাংলাদেশ জিতেছে। তবে প্রধান শর্ত হলো ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিনভাগেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

ক্যারিবিয়ান রাজ্যের কিংস্টোনে ডাচরা যখন টসে জিতে বোলিং নেয় তখন খানিকটা ঘাবড়ে যাওয়ার মতোই হয়েছিলো অবস্থা। কেননা গত কদিনে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের যে দূরাবস্থা দেখা গেছে এরপর এক পশলা বৃষ্টি শেষে ব্যাটিংয়ে কি দুর্দশা হবে ভাবতেই শিউরে উঠার মতো অবস্থা। শান্ত-লিটনের উইকেট যাওয়াতে যা আরও মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করে।

তবে সব ছাড়িয়ে তামিমের ক্যামিও ইনিংস, রিয়াদের ক্যামিও ইনিংসের সাথে যে ব্যাপারটি এই ম্যাচে বেশি কাজে দিয়েছে তা হলো সাকিবের দুর্দান্ত ব্যাটিং। ৪৬ বলে ৯ চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সাকিব ভরসার মূলকেন্দ্র হয়ে উঠেন। একেবারে মাঠ কামড়ে পড়েছিলেন সাকিব। ব্যাটিং এপ্রোচ দেখে মনে হচ্ছিলো আজ তারই দিন। বাংলাদেশও পেলো ১৫৯ রানের সংগ্রহ। যা ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিলো।

ব্যাটিং বিভাগের যখন এই অবস্থা তখন পুরোপুরি বাকি ম্যাচের ভরসা বোলিং বিভাগ। অবশ্য এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু ছিলোনা। কেননা বাংলাদেশের বোলিং বরাবরই প্রতিটি ম্যাচে ভালো ছিল। তবে নেদারল্যান্ডসের ৩য় উইকেটে দুই ব্যাটারের অবস্থা দেখে আবারও বুকে দুরুদুরু অবস্থা শুরু হলো। কেননা ডাচদের বেশকিছু ভালো অলরাউন্ডার আছে।

ডাচদের উইকেটে সেট হতে দেখে ম্যাচের ফলাফল নিয়ে কিছুটা আশঙ্কা জাগে তখন দলের ত্রাস হয়ে আসেন রিসাদ। ছেলেটা বরাবরই দুর্দান্ত পুরো আসরেই। ১৫তম ওভারে এসে এক বলের ব্যবধানে একটি ক্যাচ আউট এবং লিটনের স্ট্যাম্পিংয়ে দ্বিতীয় আউট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। এরপর রিসাদ-ফিজ ডাচদের রীতিমতো চেপে ধরেন।

১৭তম ওভার থেকে আবারও শুরু হয় ফিজ-রিসাদের জাদু। ১৭তম ওভারে ফিজ একটি এবং ১৮তম ওভারে রিসাদ একটি উইকেট নিয়ে ডাচদের প্রায়শ চুরমার করে দেন। ডাচ শিবির ততক্ষণে ক্ষীণ প্রায় অবস্থা। এমন সময় মুস্তার শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দেয়া আর তাসকিন এসে ফিনিশিংটা দিলেন বেশ দারুণ ভাবেই। নিজের শেষ বলে স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিং দিলেন যা চোখের প্রশান্তি।

এমন একান্নবর্তী পরিবারইতো চেয়েছে সকল সমর্থকেরা। মাঝখানে যেটা বেশি নজর কেড়ে ছিলো সেটা স্ট্যাম্পের পিছনে থেকে লিটনের মনোযোগ। সর্বদা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ছিলেন। আগামীর যাত্রা আরও শুভ হোক।

Google search engine