তীরে এসে তরী ডুবলো আবারও প্রোটিয়াদের। টানটান উত্তেজনাময় ম্যাচে ৭ রানে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। প্রোটিয়াদের চোকার্স তকমা আর গেলোনা।
ম্যাচ প্রোটিয়াদের হাতেই ছিলো। ক্লাসেন তখন বিধ্বংসী ইনিংস খেলে চলেছেন। বিপত্তি বাঁধে হার্দিকের ওভারে। মারতে গিয়ে ফিরেন ক্লাসেন। এরপরও ম্যাচ প্রোটিয়াদের হাতেই ছিলো। কিন্তু বুমরাহ এসে মাত্র ২ রান দিয়ে আরও একটি উইকেট তুলে নেন। হার দিকের শেষ ওভারেও মনে হচ্ছিলো হয়তো ম্যাচ এখনো হাতে আছে। এমন সময় বাউন্ডারি লাইন থেকে সূর্যের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন মিলার৷ মূলত সেখান থেকেই প্রোটিয়াদের হার শুরু। শেষ ওভারে ২টি উইকেটসহ ৮ রান দেন হার্দিক। তবে ম্যাচ তখন পুরোপুরি ভারতের নিয়ন্ত্রণে। ৭ রানে জয় পায় ভারত।
দিনের শুরুটা হয় ভারতের ব্যাটিং দিয়ে। ফর্মে থাকা রোহিত ফিরলেও কোহলি মাঠ কামড়ে ক্রিকেট ছিলেন। পুরো আসরে জমিয়ে রাখা ক্ষোভ যেন ঝাড়লেন ফাইনালেই। কোহলি দেখিয়ে দিলেন তার দিনে দিনটা কেবল তারই। কোহলির ইনিংসে ১৭৬ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। যদিও মনে হচ্ছিলো এই সংগ্রহ যথেষ্ট নয়। তবে বুমরাহর মতো বিশ্বসেরা বোলার যেই টিমে আছে সেই টিমে ম্যাচ ঘুরে যাওয়ার জন্য একটি ওভারেই যথেষ্ট।
ভারতের দীর্ঘ এক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। রোহিত তার শেষ সময়ে এসে আক্ষেপ ঘুচিয়েছে। তবে অপেক্ষা বাড়লো প্রোটিয়াদের। চোকার্স তকমা যে এখনো লেগেই রইলো। এবার অনেক বড় সুযোগ ছিলো। হলোনা।