বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ২১ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। প্রথম ম্যাচ জয়লাভের পর যদিও বা আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না। তবে বলতেই হবে ইংল্যান্ড নারী দল বাংলাদেশ নারী দলের জন্য বেশ শক্তিশালী একটি প্রতিপক্ষ দল।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় ইংল্যান্ড নারী দল। ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালোই শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। দলের দুই ওপেনার বেশ ভালো শুরু এনে দেয়। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেটটি হারায় দলীয় ৪৮ রানে। যদিও এরপর বাকি উইকেটগুলো বেশ দ্রুত পড়েছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশকে।
ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল হলেও খুব একটা ভালো সংগ্রহ কিন্তু পায়নি। এদিকটায় বলতে হয় বাংলাদেশি মেয়েরা বোলিং এবং ফিল্ডিং বেশ ভালো সামলিয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো ব্যাট হাতে কেউ জ্বলে উঠতে পারেনি। বারংবার ব্যাট হাতে ব্যার্থতা যেন কাটছেই না। সোবহানা বাদে কারও ইনিংসই চোখে পড়ার মতো হয়নি। তবে সোবহানার ডট খেলার প্রবণতা কমাতে হবে৷
এই ম্যাচে বাকিদের রানের অবস্থাও গত ম্যাচের মতোই সিঙ্গেল ডিজিটের। সবাই সিঙ্গেল ডিজিটে থেমেছেন। যা ভোগাবে বলে মনে হয়েছিলো বড় প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। অসহায় আত্মসমর্পণ মনে হলো। যদিও ম্যাচটা খুব ভালোভাবেই আগানো যেতো। আর সোবহানাই হতে পারতেন জয়ের নায়ক। যদি কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারতো তবে হয়তো এবারও জয়টা বাংলাদেশের পক্ষেই আসতো। এত সহজ লক্ষ্য হাতছাড়া হওয়ার আফসোস যেন কাটছেই না।
জ্যোতিদের আরও অনেক কিছু শেখার আছে। পর্যাপ্ত সিরিজ দরকার বড় দলের সাথে। ঘরোয়া লীগের দিকেও বিসিবির তৎপর হওয়া দরকার। শেখার সুযোগ পেলে অবশ্যই ভালো কিছু করা সম্ভব। এশিয়ার গন্ডিতে সীমাবদ্ধ না থেকে বড় বড় দলগুলোর সাথে সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করতে হবে। পরাজয় আসলেও শেখার অনেক উপলক্ষ পাওয়া যাবে।