ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন দল প্রথম ইনিংসে সাড়ে পাঁচশ রানের স্কোর করার পরও দ্বিতীয় ইনিংসে কোন দলের কাছে হেরেছে। এমনটা বোধহয় পাকিস্তানের ক্ষেত্রেই সম্ভব।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের দিকে লক্ষ্য করলে আপনি দেখবোন ওদের প্রথম ইনিংসে তিনটি শতক ছিলো। শফিক, মাসুদ এবং সালমানের ১০০+ ইনিংস এবং শাকিলের ৮০+ রানের ইনিংসে পাকিস্তান ৫৫৬ রানের সংগ্রহ পায় প্রথম ইনিংসে। এরপর আরও চমক অপেক্ষা করছিলো দর্শকদের জন্য। ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতে এক উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের পার্টনারশিপ আসে। তৃতীয় উইকেটেও ভালো সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। চতুর্থ উইকেটেই আসল চমক শুরু হয়। রুট এবং ব্রুক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। রুটের ২৬২ রান এবং হ্যারি ব্রুকের ৩১৭ রানের ইনিংসে ইংল্যান্ড ৮২৩ রানের বড় সংগ্রহ পায়। ৮২৩ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ইংল্যান্ড।
এবার আসে পাকিস্তানের পালা। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ২২০ গুটিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। বেজবলের জাদু বোধহয় এটাই। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের কেবল ২টি অর্ধশতরান বাদে ভালো কোন ইনিংস নেই। বিশ্বসেরা বোলিং লাইনআপ বলে নিজেদের দাবি করলেও পাকিস্তান তার প্রমাণ মাঠে দিতে পারেনি। ইংল্যান্ড ইনিংস ব্যবধানে ৪৭ রানে জয় লাভ করে। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন হ্যারি ব্রুক। চমৎকার একটা টেস্ট ম্যাচের সাক্ষী হয় ক্রীড়ামোদীরা।
ইংল্যান্ডকে টেস্ট ক্রিকেটের জনক বলা হয়ে থাকে। এজন্যই বোধহয় ইংল্যান্ডের টেস্ট নিয়ে পরিকল্পনাগুলো বেশ সুন্দর।