ম্যাচ পুরোপুরি অনেকটা আফগানদের আয়ত্তে। ঐ মুহূর্তে প্রয়োজন ছিলো কোন চমকের। কোন চমক দেখাতে না পারলে নিশ্চিত হার। ১১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও ম্যাচ আফগানদের হাতেই ছিলো। তখনই ঝলক দেখান ইমন। ইমনের বলে নাসের খান ফিরেন। নাসের খান ফেরার পর কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যায় আফগানরা।
নতুন করে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি কেউ। কেননা ইমন আর ফাহাদ একের পর এক আঘাত হানে আগাম শিবিরে। একে একে ফিরেন নাজিফুল্লাহ, বারকাত, হামজাহ, খাতির, আজিজ এবং গাজানফার। সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানেই থামে আফগানদের ইনিংস। বাংলাদেশ ৪৫ রানে জয় পায়।
দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ফাহাদ এবং ইমন। মারুফ নেন ২ উইকেট। রাফি ১ উইকেট নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক তামিমের শতরানের ইনিংস এবং কালামের ৬৬ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ বেশ ভালো সংগ্রহ পায়। বাকিরা খুব বেশি রান সংখ্যা বাড়াতে না পারলেও স্ট্রাইক ব্যাটারকে বেশ সঙ্গ দিয়েছেন ইনিংস এগিয়ে নিতে। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২২৮ রানের সংগ্রহ পায়।
জয় দিয়ে আসর শুরু হলো বাংলাদেশ যুবাদের। প্রথম ম্যাচ, প্রথম জয়। প্রতিপক্ষ এবং মাঠ দুটোই পরিচিত। সে হিসেবে খুব বেশি কঠিন হয়নি জেতা। তবে মাঝখানে ম্যাচ একেবারেই মনে হচ্ছিলো হাত থেকে বেরিয়ে গেছে সেখান থেকে ম্যাচ ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব বোলারদেরই। তবে ব্যাটিং ইউনিটকে আরও ভালো করতে হবে। তবেই দলে পরিপূর্ণতস পাবে।