
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুরুটা যেন একেবারেই স্বপ্নের মতো হয়েছে। হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল দাপটের সাথে জয়ের পতাকা উড়িয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই ছিনিয়ে নিয়েছে ৭ উইকেটের সহজ জয়।
এই জয়কে শুধু একটি পরিসংখ্যান না ভেবে , বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি ভাবা উচিত।
শুরুটা হয়েছিল তাসকিনের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আনশুমান রাঠকে ফেরান তিনি। এরপর তানজিম হাসান সাকিবের নিখুঁত ইয়র্কারে কুপোকাত হন বাবর হায়াত। তবে জিসান আলী আর নিজাকাত খান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। জিসান ৩০ আর নিজাকাত খেলেন ৪২ রানের লড়াকু ইনিংস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিশাদের ঘূর্ণিতে হংকংয়ের শিবির চূর্ণবিচূর্ণ হয়। অধিনায়ক মুর্তজা ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। সব মিলিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪৩ রান যোগ হয়। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও ফিল্ডিং হংকংকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমন দুর্দান্ত শুরু করেন। ১৯ রানে ফিরলেও দলকে ভালো একটা ইনিংস শুরু করে দেন তিনি। তানজিদ হাসান ব্যাট হাতে ছন্দ খুঁজে না পেলেও দলের দায়িত্ব কাঁধে নেন লিটন দাস। একদিকে তাওহীদ হৃদয়ের শান্ত সঙ্গ, অন্যদিকে লিটনের ব্যাট ঝলকানি – দলের ইনিংস এগিয়ে যেতে থাকে। মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশতক তুলে নেওয়া লিটন শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৫৯ রান করে ফিরলেও তৌহিদ হৃদয় শেষ কাজটি সম্পন্ন করেন।
বাংলাদেশের এই জয় দলে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছে। আসরের শুরুতে জয় দিয়ে শুরু হওয়াতে দলে স্বস্তি ফিরেছে। বহুদিন পর তরুণ নির্ভর একটা দল নিয়ে স্বস্তির জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে এই সাবলীল জয় সামনে অপেক্ষমান শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় করে তুলবে। দলের আত্মবিশ্বাস, একাগ্রতা এবং পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে, এশিয়া কাপের মঞ্চেই হয়তো লেখা হতে পারে নতুন ইতিহাসের সূচনা।