ডিপিএলে আম্পায়ার বিতর্ক যেন নিত্যকার ঘটনা। এর আগেও অনেক বিতর্ক দেখা গেছে। তবে এবারের মতো সবার নজরে আসেনি কখনোই। বিতর্কের ব্যাপারটিও বেশ স্পর্শকাতর বিষয়। নারী আম্পায়ার দেওয়াতে খেলতে চায়নি এমনটি প্রকাশ করা হয় কিছু গণমাধ্যমে। তবে পরবর্তী অনুসন্ধানে উঠে এসেছে অনেক তথ্য।
সাথিরা জাকির জেসি সম্প্রতি আইসিসির লিস্টেড হওয়ায় প্রশংসায় ভেসেছেন। আসন্ন নারী বিশ্বকাপে যা আরও প্রসারিত হবে। আইসিসি বর্তমানে নারী আম্পায়ারদের প্রতি জোর দিচ্ছেন বিশেষভাবে। সেই সুবাদে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দোরগোড়ায় জেসি। তবে সম্প্রতি ডিপিএলে মোহামেডান এবং প্রাইম ব্যাংকের মধ্যকার ম্যাচে বেশ স্পর্শকাতর একটি বিষয় সবার নজরে এসেছে।
কিছু গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় নারী আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করানোয় খেলতে চাননি দলের তারকারা। যার ফলে অনেকের রোষানলের মুখে পড়েছেন সিনিয়র তারকারা। ঘটনার যথার্থতা বিচারে দু’দল এবং বিসিবির নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দেওয়া বিবৃতিতে পাওয়া গেছে বেশকিছু তথ্য৷
ডিপিএল শেষের দিকে। এমন সময়ে ভাইটাল ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছিলো মোহামেডান এবং প্রাইম ব্যাংক। আর এই ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ে দেওয়া হয় জেসিকে। আর এতেই বিপত্তি ঘটে। বলা বাহুল্য, জেসি এবারই প্রথমবার ডিপিএলে ম্যাচ পরিচালনা করছেন। সে হিসেবে অভিজ্ঞতার বিচারে জেসি বেশ জুনিয়র। আর ভাইটাল ম্যাচের হিসেবে দু’পক্ষের টিম অফিশিয়াল থেকে মৌখিক আপত্তি জানানো হয়।
তবে নারী বিদ্বেষ বা এমন কোন চিন্তা থেকে এমনটি করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন- ভাইটাল ম্যাচ হিসেবে সিনিয়র কাউকে কাম্য ছিলো। প্রতিটা সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেসি প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েছেন। সে হিসেবে একটু আপত্তি ছিলো।
বিসিবির কর্মকর্তাও জেসির পক্ষে বলেন- জেসি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। আইসিসির লিস্টেডও হয়েছেন। জুনিয়র হলেও তাকে বড় বড় ম্যাচের জন্য তৈরি করতেই এই ম্যাচে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টিম অফিশিয়াল থেকে আপত্তি আসলেও পরবর্তীতে তারা মেনে নেন।
জেসির দিক থেকেও জানতে চাইলে বলা হয় অনভিজ্ঞ হিসেবে টিম অফিশিয়াল থেকে কিছুটা আপত্তি থাকলেও খেলোয়াড়দের কাছে তিনি বেশ সহযোগিতা পেয়েছেন।
এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের বিভ্রান্তিমূলক হেডলাইন বা তথ্য থেকে ঢালাওভাবে খেলোয়াড়দের দোষারোপ করাটা বেশ বেমানান। যেটা কখনোই কাম্য নয়। যে বিভ্রান্তি অনেকটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
সবশেষে বিভ্রান্তিকর তথ্যে বিশ্বাস না করে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করাই মুখ্য হওয়া উচিত। এবং এ সকল বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার বন্ধ করা উচিত। এতে দেশের ক্রিকেটের অবস্থান ও দৃঢ় হবে।