বিশ্বকাপ আসর বছর ঘুরেই আসে। আর নিয়ে আসে নানা বার্তা। নতুন করে আমেজ জাগায় ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে। বিশ্বকাপের আসর তাই যেকোন সিরিজ থেকে সবসময় এগিয়ে। তবে এবার নারী বিশ্বকাপ নিয়ে একটু আক্ষেপও ছিলো।
আয়োজক দেশ হিসেবে নতুন আরও একটি মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বকাপ পরিবর্তিত হয় আইসিসি কর্তৃক। যার ফলে ভেন্যু সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে করা হয়। যদিওবা আয়োজক বাংলাদেশই থাকছে। শুধুমাত্র ভেন্যু পরিবর্তন হচ্ছে। এ নিয়ে কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হলেও বেশ ভালোই ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে জ্যোতিদের। আর যার প্রমাণ মিলেছে মাঠের লড়াইয়েও। জ্যোতিরা বেশ দাপটের সাথে ম্যাচ খেলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের আসরের পর্দা উঠেছে। আর প্রথম ম্যাচেই মাঠের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম লড়াই বেশ ভালোই কেটেছে জ্যোতিবাহিনীর। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ।
ব্যাটে-বলে মোটামুটি বেশ ভালোই দিন গেছে বাংলাদেশের। যেকোন বড় আসরে আসরের শুরুটা ভালো হলে অনেক দিক থেকেই সুবিধা। পয়েন্ট যোগের সাথে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জাগায়। যেটা পুরো দলে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। নির্দ্বিধায় পরবর্তী ম্যাচ খেলার তাড়না জোগায়। যদিওবা প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাড়তি পয়েন্ট সাথে থাকলে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয়।
যদিও এই ম্যাচে বাংলাদেশের বড় কোন জুটি ছিলোনা। আর এই জিনিসটাই সবচেয়ে বেশি ভোগাবে হয়তো বড় দলগুলোর সাথে। বিশেষত ডট খেলে পার্টনারকে বা দলকে চাপে ফেলানো কমাতে হবে। সিঙ্গেলের পরিমাণ বাড়াতে হবে। সেই সাথে সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি খেলা। একজন আউট হলে পরপর আত্মবিশ্বাস হারানোর প্রবণতাও কমাতে হবে।
নিজেদেরকে বড় ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করতে হলে উইকেটে টিকে থাকার ক্ষমতা, সিঙ্গেল নেওয়ার ক্ষমতা এবং সর্বোপরি আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি বাড়াতে হবে। তবে বলতেই হয়, টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ, দলের প্রথম ম্যাচ, আর প্রথম ম্যাচেই জয়। এর অনুভূতিই আলাদা।
বাংলাদেশ এর পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দল ইংল্যান্ড। আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৮টায় শারজায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও প্রথম ম্যাচ থেকে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হওয়াই যায়। বাকিটা মাঠের লড়াইয়ের জন্য তোলা থাকলো।