ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেন আজ অঘটনই ঘটলো। শুরুতে রান খরায় ধুঁকতে থাকা আফগানরা ২৮৫ রানের টার্গেট দিয়ে পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে পরাজিত করেছে।
ইংলিশ ব্যাটাররা এদিন একের পর এক যাওয়ার মিছিলে নেমেছিল। দলের মাঝে কেবল ব্রুক অর্ধশতকের ইনিংস পেয়েছেন। জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত বেয়ারস্টোর উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর মালানকে গিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করলেও রুটকে ফিটিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুজিব। ১১ রান করে ফিরেন রুট।
মালান ৩০+ রান পেলেও দলের বিপর্যয়ের মুহূর্তে আউট হয়ে ফিরেন নবীর বলে। বাটলারের ইনিংস বড় হয়নি নাভরনের আঘাতে। লিভিংস্টোনও এদিন ছিলেন ব্যর্থ। সবার মাঝে কেবল ব্রুকের ব্যাটেই এসেছে সম্মানজনক ইনিংস। বাকিদের কেউ বেশি সময় টিকতে পারেননি৷ ইংল্যান্ড ২১৫ রানে থামে। আফগানিস্তান ৬৯ রানে জয়লাভ করে। আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব ও রশিদ তিনটি করেউইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টসে জিতে বোলিংয়ে যায় ইংল্যান্ড। শুরুতে আফগানদের টপকানো কষ্টসাধ্য ছিল। আক্রমণাত্নক ব্যাটিং করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন গুরবাজ। এই জুটি ভাঙে তার ব্যক্তিগত ৮০ রানে। যদি অপরপ্রান্তে বাকিরা তাকে ঠিকঠাক সহযোগিতা করতে পারছিলনা।
এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। শুরুতে মনে হচ্ছিলে আফগানিস্তানকে দ্রুত আটকে দিয়ে ম্যাচ জিতে নিজেদের রান রেট বাড়িয়ে নিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড। যদিও ব্যাটিংয়ের নেমে ইংল্যান্ডের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেননি আফগানিস্তানের দুই ওপেনার।
নিজের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে দেন। পরবর্তীতে ইকরাম এসে ৬৬ রানে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন। যা দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে ২৮৫ রানে পৌঁছে দেয়।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ। ২টি উইকেট পেয়েছেন মার্ক উড। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রিস টপলি, জো রুট ও লিয়াম লিভিংস্টোন।