Google search engine

শেষ ম্যাচে এসে শেষ হাসিটা হেসেছে বাঘিনীরাই। টি-২০ সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে যদিও। তবে শেষ ম্যাচে নিজেদের সবটা উজাড় করে দিয়ে বাংলাদেশ জয় তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটে। ১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ম্যাচে খুব কাছে গিয়েও জেতা হয়নি। অধিনায়ক নিগার সুলতানা একপ্রকার একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছিলেন। এই ম্যাচে দলের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন শামিমা সুলতানা। ৪২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছেন।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ১২ রানেই হারিয়েছে সাথি রানির উইকেট। এরপর মাত্র ৪ রান যোগ করে ফিরেন দিলারা আক্তার।

দুই উইকেট যাওয়ার পর শামিমাকে নিয়ে জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। দুজনে মিলে দলীয় সংগ্রহ অর্ধশতক পেরোতেই দলীয় ৬২ রানে ফিরেন জৌতি। সঙ্গী হারিয়ে স্বর্ণাকে নিয়ে জুটি গড়তে চেয়ে ব্যর্থ হন শামিমা। ফিরেছেন ৪২ রান করে।

শামিমার পরপর ফিরেন সুলতানা খাতুনও। শেষ পর্যন্ত রিতু মনি এবং নাহিদা আক্তার ক্রিজে থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ১০ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় জয়।

এর আগে মিরপুরে টসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। কিন্তু বাঘিনীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই ভারত নার্ভাস হতে থাকে। অধিনায়ক হারমানপ্রীত ও জেমিমাহ রদ্রিগেজ ছাড়া দলের কেউ খুব একটা ভালো স্কোর করেননি। হারমানপ্রীত ৪১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন।

জেমিমাহ খেলেন ২৮ রানের ইনিংস। ১৭তম ওভারে হারমানপ্রীত আউট হওয়ার পর থেকেই ছন্দ হারায় ভারত। নিচের সারির ব্যাটাররা সবাই ব্যর্থ ছিলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০২ রানে থামে ভারত।

দলের হয়ে রাবেয়া খান সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেছেন। সুলতানা খাতুন নেন দুই উইকেট। নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও স্বর্না আক্তার নেন একটি করে উইকেট।

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here