এশিয়া কাপের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য টপকে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে লঙ্কানরা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কারও। বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে খুব দ্রুতই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তাসকিনের দ্বিতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরেন দিমুথ করুনারত্নে(১)। আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে(১৪) ফেরান শরিফুল ইসলাম।
মাত্র ১৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে যখন বিপাকে পড়ে লঙ্কানরা, তখন প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা। এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে ৫ রান করে ফিরেন মেন্ডিস। ৪র্থ উইকেট জুটিতে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালঙ্কা। ম্যাচকে নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন এই দুই ব্যাটার। ৫৯ বলে অর্ধশতক তুলে নেন সামারাবিক্রমা।
যখন জয় অনেকটা হাতের মুঠোয় তখন মাহেদি এসে আবারও বেক থ্রু এনে দেন। ৭৮ রানের জুটি ভাঙেন শেখ মাহেদি। স্টাম্পিং হয়ে ফিরেন সামারাবিক্রমা(৫৪)। এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ক্রিজে থিতু হতে দেননি সাকিব। সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ২ রানে ফিরেছেন এই ব্যাটার।
কিন্তু রানের ব্যবধান তখন অনেকটা কমে এসেছিল। যার ফলে জয় লঙ্কানদের হাতের মুঠোয় ছিল। শেষ দিকে শানাকা-আসালঙ্কা জুটি দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। লঙ্কানরা ৫ উইকেটের জয় পায়।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন সাকিব। ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন, শরিফুল এবং মাহেদী।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। ইনজুরির ফলে লঙ্কানদের ৪জন ক্রিকেটার এশিয়া কাপের দলে নেই। সে হিসেবে তুলনামূলকভাবে দুর্বল মনে হলেও লঙ্কান পেসার পাথিরানার পারফরম্যান্স বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার একপ্রকার গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন থিকশানা। যার ফলে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ১৬৪ রানে। এই ম্যাচে শান্ত ছাড়া সবাই ছিলেন ব্যর্থ। দুয়ের অঙ্ক পেরিয়েছেন কেবল ৪জন ব্যাটার। যার ফলে দু’শো এর অনেক আগেই থেমেছে বাংলাদেশ।
শুরুতে দলীয় ৪রানে শূন্য রান করে ফিরেছেন অভিষিক্ত হওয়া ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম। থিকশানার বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর শান্তকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করলেও বেশিদূর আগায়নি নাঈম শেখের ইনিংস। ধনাঞ্জয়ার বলে নিশাঙ্কাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এই ব্যাটার।
ক্রিজে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। পাথিরানার বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ রানে ফিরেন তিনি। এরপর শান্ত-হৃদয় হাল ধরলেও বেশিদূর আগায়নি হৃদয়ের(২০) ইনিংস। এরপর আর কেউ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। একপাশে শান্ত ক্রিজ আগলে রাখলেও তাকে সঙ্গ দেওয়ার মত কেউ ছিলনা। যার ফলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬৪ রানে।
দলের হয়ে ৪ উইকেট নেন পাথিরানা। ২ উইকেট নেন থিকশানা। ১টি করে উইকেট নেন ধনাঞ্জয়া, দুনিথ এবং শানাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ১৬৪/১০ (৪২.৪ ওভার)
শান্ত ৮৯, হৃদয় ২০
পাথিরানা ৪/৩২, থিকশানা ২/১৯
শ্রীলঙ্কা- ১৬৫/৫ ( ৩৯ ওভার)
সামারাবিক্রমা ৫৪, আসালঙ্কা ৬২*
সাকিব ২/২৯, শরিফুল ১/২৩