Google search engine

২০২২ সালটি ব্যাট হাতে বেশ দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন জনি বেয়ারস্টো। বর্ষসেরা রান সংগ্রাহকের দৌড়েও ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে সব স্তব্ধ করে দেয় অনাকাঙ্ক্ষিত চোট। গলফ খেলতে গিয়ে পা পিছলে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। সেই চোটের কারণে ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছিলেন। দীর্ঘ ১০মাস পর সেই চোট কাটিয়ে অ্যাশেজের দলে ফিরেছেন বেয়ারস্টো। তবে ভুলতে পারেননি চোটে পড়ার দুর্বিষহ স্মৃতি।

অ্যাশেজের আগে আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের স্কোয়াডেও বেয়ারস্টো রয়েছেন৷ গত বছর গলফ কোর্সে পা পিছলে বেয়ারস্টোর পায়ের হাড় তিন জায়গায় ভেঙে যায় এবং সরে যায় পায়ের গোড়ালিও। সফল অস্ত্রোপচারের পরও ঠিক কবে মাঠে ফিরতে পারবেন, তা নিয়ে অনিশ্চিত ছিলেন তিনি। সেই সাথে ভয়ে ছিলেন আর কখনো হাঁটতে বা খেলতে পারবেন কিনা।

আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের আগে এই ব্যাটার ফেরাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ইংলিশ শিবির। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনি বেয়ারস্টো বলেন, ‌‌‘আবার হাঁটতে পারব কি না, খেলতে পারব কি না, এ নিয়ে সন্দেহ ছিল। অবশ্যই এই বিষয়গুলো আপনার মনে আসবে। আবার মাঠে ফেরার আগপর্যন্ত অনেকগুলো বিষয় আছে, যা নিয়ে সন্দেহ থাকে। প্রশ্ন জাগে সবকিছু কি আগের মতোই থাকবে? ক্রিকেটে ফিরে আসার আগে এই রকম অনেক বিষয় ঘুরতে থাকে মাথায়।’

চোট থেকে শতভাগ সেরে না উঠলেও, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে চান এই ইংলিশ ব্যাটার, ‘এটা খুব হাস্যকর যে লোকেরা বলছে আমি অবহেলা করছি। সত্যি বলতে আমি এমন কাউকে চিনি না, যে বা যারা মারাত্মকভাবে পায়ে আঘাত পেয়ে আগের মতোই হাঁটতে পারছে।‌ কিছু কিছু ব্যথা-যন্ত্রণা তো থেকে যাবে। এটা চোটেরই অংশ। ‌ফলে হাঁটু, গোড়ালি, পিঠের নিচের অংশ যেকোনো জায়গায় ব্যাথা হতে পারে। যখন ট্রমা থাকে, তখন শরীরের নড়াচড়া বা শরীর যেভাবে চলতে চায় তাতে একটা সমস্যা হয়। গত বছর চোট পাওয়ার আগে আমি যেভাবে দৌড়াতে পারতাম, সেভাবে হয়তো পারছিনা তবে আমি ফিট আছি।’

চোটে পড়ার আগে দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়েছিলেন বেয়ারস্টো। টেস্টে সেই বছর ১০ ম্যাচে ৬টি সেঞ্চুরি করেছেন, ব্যাটিং করেছেন ৬৬.৩১ গড়ে। তিনটি টি-২০ খেলে ৪৯ গড় ও ১৪১.৩৪ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ১৪৭ রান। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে একই ছন্দে তার ব্যাট হাসবে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন। তবে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ইয়র্কশায়ারের হয়ে টি-২০ ব্লাস্টে খেলবেন।

আগের মতো একই ফিটনেস পেতে সময় লাগলেও, ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়ার কথা বলছেন বেয়ারস্টো, ‘আমি মনে করি না যে ফিল্ডিং করতে গেলে খুব সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তবে বাউন্ডারির দিকে জোরে দৌড়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। খেলতে নেমে কিছুটা সমস্যা হবে, তবে এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।’

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here