আবারও স্বপ্নভঙ্গ, আবারও কাছে এসেই ফিরে যাওয়া। বারংবার ট্রফির কাছাকাছি এসে এভাবে হাতছাড়া হওয়া যেন কিউইদের ভাগ্যে লেখা হয়ে যাওয়ার মতো। ২০১৯ বিশ্বকাপে ফাইনালে গিয়েও সুপার ওভারে ভাগ্যের খেলায় খোয়াতে হয়েছে ট্রফি। আর এবার সেমিফাইনালেই ইতি টেনেছে উইলিয়ামসনের দল।
মতান্তরে উইলিয়ামসনের শেষ বিশ্বকাপ হিসেবে কিউই ভক্তদের চাওয়া ছিলো এবার অন্তত হোক। আসরের শুরুটাও বেশ দুর্দান্ত করেছিলো তারা। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস কার এড়ানো সম্ভব? সেমিফাইনালে যে প্রতিপক্ষ এবারের রেসের ঘোড়া ভারত। অপ্রতিরোধ্য এই ভারতকে রুখবার সাধ্য আছে কার? যদিও প্রাণপণ লড়ে গেছে কিউইরা। কিন্তু মোহাম্মদ শামির ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারেনি কিউই ব্যাটাররা।
২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলো কিউইরা। ৫বছর পর এসে তারই প্রতিশোধ যেন পরিপূর্ণভাবে ফেরত দিলো ভারত নিজেদের মাঠে। আর সেই সাথে ভারতের দীর্ঘ এক যুগ ফাইনালে না উঠার আক্ষেপও ঘুচলো। যদিও মনে হচ্ছিলো ম্যাচ দুপক্ষের হাতেই আছে। কিন্তু মোহাম্মদ শামির বোলিং তোপে টিকতে পারেনি কিউইরা।
শুরুতে ব্যাট করে ভারত কিউইদের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দিলেও বেশ ভালোই শুরু করে কিউইরা। কিন্তু শামির ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারেনি ব্যাটাররা। সঠিক সময়ে ফাঁদ পেতে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। শামির নিজের দিনে দলের ভাগ্যও যেন তাদের পক্ষেই যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
ছন্দে থাকা ব্যাটারদের একে একে ফিরিয়ে একাই গুড়িয়ে দিয়েছেন বিপক্ষ দলের শিবির। উইলিয়ামসনের অর্ধশতরানের ইনিংস, মিচেলের দুর্দান্ত শতক, ফিলিপসের ৪১ রানসহ বাকিদের ছোটখাটো ইনিংসে জয়ের পথেই আগাচ্ছিলো কিউইরা। তবে শামির মরণ ফাঁদে পা দিয়ে ফিরেছেন একে একে সবাই। যার ফলে ভারত ৭০ রানের জয় পেয়েছে।
এরই সাথে শেষ হলো কিউইদের স্বপ্নের বিশ্বকাপ ফাইনাল। কাছে এসেও ফিরে যেতে হলো উইলিয়ামসনকে। বার বার এমন হতাশা যেন চেপেই বসেছে কিউইদের। উইলিয়ামসনের সময়ে দু’বার ফাইনাল থেকে ফেরা আর দু’বার সেমি ফাইনাল থেকে ফেরা। ভাগ্য যেন বিপরীতেই যাচ্ছে বারংবার।
তবে কিউই ভক্তরা আশায় থাকবেন ভাগ্যচক্র ঠিকই একদিন ঘুরবে কিউইদের। ধরা দেবে সোনালী ট্রফি। যদিও সেদিন নেতৃত্বে থাকবেন না উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসনের হাতে সোনালী ট্রফি দেখার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।