সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারতকে ৪ উইকেটে পরাজিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত।
লক্ষ্যটা যদিও খুব একটা বড় ছিলোনা। তারপরও প্রতিপক্ষ যেহেতু ভারত সেদিক থেকে একটু চাপা আক্ষেপ ছিলো ভারত জুজু কাটানোর। আর সেই জুজু বেশ ভালোভাবেই কাটিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম এবং আহরার আমিন৷ যদিও মাত্র ৬ রানের জন্য শতকের আক্ষেপে পুড়েছেন আরিফুল। তবে তার খেলা ইনিংসে বাংলাদেশের জয় সহজ হয়ে যায়।
টপ অর্ডারের ছন্দপতনে যেখানে খেই হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলাদেশ। সেখান থেকে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন আরিফুল-আমিন জুটি। দুজনের ভালো বোঝাপড়ায় বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছিলো এই জুটি। যদিও শেষ দিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফিরেছেন আরিফুল।
শেষ দিকে অর্ধশতক মিস করেছেন আমিনও। তবে দলকে জয়ের বন্দরে অনেকটা পৌঁছে দিয়েছিলেন দু’জন। যার ফলে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই ৪ উইকেটে জয় পায়। ভারতের হয়ে ৩টি উইকেট নেন নামান তিওয়ারি৷
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে যায় ভারত। আর ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারায় ভারত। মারুফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও ইমতিয়াজ এই জুটি ভাঙেন।
এরপর সপ্তম উইকেটে আবারও ভারতের ইনিংস কিছুটা আগায়। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮৮ রানেই থামে ভারতেট ইনিংস। যা তুলনামূলকভাবে সহজ লক্ষ্যে পরিণত হয় বাংলাদেশের জন্য। আগামী ১৭ই ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে বাংলাদেশের যুবারা।