নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এই জয়টা প্রয়োজন ছিলো শান্তদের। প্রথম ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেনি জাকের আলী-রিয়াদরা৷ তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শুরুতে বোলাররা ১৬৫ রানে লঙ্কানদের আটকে দেন। বাকি কাজ ব্যাটাররাই করে নিয়েছে। যার ফলে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
ওপেনিং থেকে শুরু করে সবাই বেশ দাপুটে ইনিংস দেখিয়েছেন। অফ ফর্ম থেকে শান্তর দুর্দান্ত কামব্যাক আর হৃদয়ের সঙ্গ দুয়ে মিলে জয় সহজ হয়ে যায়। এর ফলে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ছিলো স্পষ্ট। তবে এই ম্যাচে ওপেনিং জুটি ভালো শুরু করেন। উড়ন্ত শুরু করেন সৌম্য-লিটন। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৩ রান বাংলাদেশের ইনিংস মজবুত করে। যদিও সৌম্য ফিরেছেন ২২ বলে ২৬ করে। খানিকপর ফিরেছেন লিটনও(৩৬ রান)।
তৃতীয় উইকেটে হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। শুরুতে উইকেটে সেট হওয়ার জন্য সময় নেন৷ এরপর সাবলীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতরানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শান্ত। হৃদয়ের ব্যাটে অপরাজিত ৩২ রান আসে। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয় পায়।
এর আগে টসে জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ের শুরুর দিকেই বোলাররা চেপে ধরে লঙ্কান ব্যাটারদের। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ব্যাক থ্রু আনেন তাসকিন। দ্বিতীয় উইকেটে যদিও ৬৬ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। এরপর সৌম্য এসে জুটি ভাঙেন। এরপর বাকিদের ইনিংস খুব একটা লম্বা হয়নি।
আসালাঙ্কা যদিও মাঝে ভালো শুরু করেন। তবে ২৮ রানেই ফিরতে হয়েছে তাকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাথিউস-শানাকা জুটিতে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। যা বাংলাদেশের জন্য বোশ সহজ লক্ষ্য ছিলো তুলনামূলকভাবে।