ভাগ্য যেন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতেই খুব বেশি দুঃখ দেয়। খুব কাছে এসে এভাবে পরাজয় খুব বেশি দুঃখজনক। আর একটু হলেই জয় টাইগারদের পক্ষে ছিলো। জাকিরের ক্যাচ যতটা না বিরক্তি ভাব দিয়েছে। তার চেয়ে বেশি দুঃখ লেগেছে রিয়াদের ক্যাচে। আর একটু হলেই বাউন্ডারি। রিয়াদ হয়তো কল্পনা করতে পারেননি এমনকিছু হতে চলেছে। নাহলে হয়তো আরেকটু দেখেশুনে খেলতেন।
বাংলাদেশের প্রায় সব ম্যাচই শেষদিকে টানটান উত্তেজনামুখর থাকে। দুরুদুরু বুকে ম্যাচ দেখতে বসে সবাই। এক টুকরো আশা শেষ পর্যন্ত মনের গহীন উঁকি দিয়ে যায়। শেষ অব্দি দেখি যদি জিতে যাই? এল টুকরো ক্ষীণ আসা নিয়েই বারংবার টিভিস্ক্রিনের সামনে বসা হয়। এবার নাহোক, পরের ম্যাচে হবে নিশ্চয়ই।
আমরা বারংবার আমাদের আবেগের কাছে হেরে যাই। যত যা অভিমানই থাকুক না কেন? দলটা যে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। অন্ততপক্ষে এই ম্যাচে ক্যাচআউটের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মুখ দেখে যেকারো কষ্ট লাগবে। কারণ চেষ্টাটা তার দিক থেকে শতভাগ ছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সাধ্য ছিলোনা। ভাগ্য যে অন্যকিছু লিখে রেখেছিলো।
যদি ম্যাচে ফিরে যাই তবে শেষ দুই ওভারের দিকেই তাকাতে হয়। টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা। কিন্তু আফসোস রিয়াদকে সঙ্গ দেওয়ার মতো শেষদিকে আজও তেমন যোগ্য কেউ ছিলোনা যে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিবে। সাম্প্রতিক নজরে আসা জাকির আলীও পারলেন না। ব্যাটে-বলে ক্লিক হচ্ছিলো না। যেই শেষওভারে উড়িয়ে মারতে গেলেন তালুবন্দি হয়ে ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে।
তারপরও স্বপ্ন দেখান রিয়াদ। তিনিতো মাঠে আছেন তখনো। স্বপ্ন পূরণের প্রায়ই কাছেই ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য। রিয়াদ বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইন থেকেই ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গেলেন। এরচেয়ে কষ্ট বোধহয় আর হয়না। নির্ঘাত জেতা ম্যাচ এভাবে হাতছাড়া হয়ে গেলো। শেষদিকে যোগ্য একটা জুটির আক্ষেপ আমাদের থেকেই গেলো। ৪ রানে বাংলাদেশের করুণ আত্নসমর্পণ।
এর আগের ইনিংসে বোলাররা বেশ ভালোভাবে চেপে ধরেছিলো প্রোটিয়াদের। কেবলমাত্র ক্লাসের ছাড়া কারও ব্যাট হারেনি। তানজিম-তাসকিনের বোলিং ভেলকি বেশ জোরেসোরেই চেপে ধরে প্রোটিয়া ব্যাটারদের। যার ফলাফলস্বরূপ ১১২রানেই থেমেছে প্রোটিয়াদের ইনিংস।