সুন্দর মনের রাহুল, আর সুন্দর বিদায়। রাহুল দ্রাবিড়- ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি। এই তারকা শান্তশিষ্ট স্বভাবের। কিন্তু গতকাল তাকে দেখা গেলো বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েছেন। ট্রফি নিয়ে উচ্ছাসে চিৎকার করেছেন। নিজের শেষটাকে রঙিনভাবেই শেষ করেছেন।
এইতো টানা কয়েকদিন ট্রেন্ড শুরু হলো “ডু ইট ফর দ্রাবিড়” স্লোগান। অনলাইন যখন এই ট্রেন্ডে সয়লাব তখন দ্রাবিড় প্রকাশ্যে অনুরোধ করলেন এটা বন্ধ করার জন্য। তবে দলের বাকি সবার মস্তিষ্কে যে গেঁথে গেছে এই মন্ত্র। আর তাই সবাই জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে গেছে তার জন্যই এটা জিততে হবে।
এই বার্বাডোজেই অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন ২০০৭ সালে। সেই কান্না আজও ভোলেননি দ্রাবিড়। তাই কাল দ্রাবিড়কে বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছিলো। কোচ হিসেবে শেষ ম্যাচ ছিলো দ্রাবিড়ের। আর ম্যাচটাও গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনাল ট্রফি ছোঁয়ার শখ থাকলেও প্রোটিয়াদের অবস্থা দেখে হয়তো কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন।
তবে রাবাদা আউট হওয়ার পর তাঁর চোখে-মুখে উৎফুল্লতা স্পষ্ট। লাফিয়ে উঠলেন দুই হাত উঁচু করে। এমন দ্রাবিড়কে শেষ কবে দেখা গেছে মনে পড়ছেনা। এযে বিশ্বজয়ের আনন্দ। অধিনায়ক হয়ে যা পারেননি কোচ হয়ে তা করে দেখিয়েছেন। সেই সাথে এক যুগের ট্রফি খরা ঘুচেছে ভারতের। ম্যাচ শেষে দ্রাবিড়ের চোখে জল৷ সেই বার্বাডোজেই যে নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হলেন।
দ্রাবিড় কেঁদেছেন, আবার হেসেছেনও৷ তারুণ্যের মতো হুংকার দিয়েছেন ট্রফি হাতে। সবাই তাকে নিয়ে মাঠে উল্লাসে ফেটে পড়েছে, উপরে ছুঁড়ে মেরেছে। সবাই বলেছে তারা দ্রাবিড়ের জন্য এটা করতে পেরে খুশি। শান্ত দ্রাবিড়কে দেখা গেলো ভিন্ন ধাঁচে। দ্রাবিড় বিদায় নিয়েছেন রাজকীয় বেশে।
বিদায় বার্তায় বেশ উৎফুল্লচিত্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখলেন – ” আগামী সপ্তাহ থেকে আমি চাকুরি বিহীন। কোন অফার আছে কি?” দ্রাবিড়ের এহেন আহ্বানে সাড়া দিতে হয়তো অনেকেই লাইনে অপেক্ষারত থাকবেন। বিশ্বসেরার তকমা নিয়ে বিদায় নেওয়া এমন রত্নের অপেক্ষায়তো সবাই থাকে।