দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ যে অপেক্ষা নিয়ে ভারত এবার ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু ম্যাচে আবারও সেই পুনরাবৃত্তিই ঘটলো। বরাবরই বড় টুর্নামেন্টে অজিরা হট ফেভারিট। আর টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অপরাজিত থাকা ভারতকে হারিয়ে অজিরা প্রমাণ করলো বরাবরেই মতোই তারা চ্যাম্পিয়ন দল।
অস্ট্রেলিয়ার গৌরবের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। হার না মানা মানসিকতার কারণে অজিদের ক্রিকেটে জায়ান্ট মানা হয়। আর চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে তাই ক্রিকেটবিশ্বে অজিরা সবসময় পছন্দের তালিকায় এগিয়ে। তবে এবারের ভারত ছিলো অপ্রতিরোধ্য। আসরের শুরু থেকে ভারত যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে এসেছে সে হিসেবে ভারতও পছন্দের তালিকায় এগিয়ে ছিলো।
দীর্ঘ সময়ের আক্ষেপ এবার দেশের মাটিতে ঘোচাবে এই প্রত্যাশা ছিলো ভারতের। ভারতীয় সমর্থকরাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন। অপরদিকে, অজিরা প্রথম দিকে হেরে ব্যাকফুটে ছিলো। সেখান থেকে হার না মানা মানসিকতা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর এই প্রচেষ্টা বোধহয় তাদেরকে দিয়েই সম্ভব।
ভারতের পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দেখানো দাপুটে দাম্ভিকতাকে চূর্ণ করে স্বাগতিকদের কাছ থেকে ট্রফি বাগিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা যদি কারও থাকে এই অজিদেরই। সেটা আরও একবার প্রমাণ করে অজিরা নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা লুফে নিলো। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অজিদের এভাবে প্রত্যাবর্তন যেন বার বার জানান দিচ্ছিলো অজিরা এখনও ফুরিয়ে যায়নি।
চ্যাম্পিয়নরা সবসময় ফিরে আসে। চ্যাম্পিয়নদের অভিজ্ঞতা ফুরিয়ে যায়না। তারা জিততে জানে, আর সেই জয় উপভোগ করতে জানে। অজিদের চেয়ে এর বড় উদাহরণ আর কেউ হয়না। এরই সাথে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ২০টি বিশ্বকাপ নিজেদের ঘরে তুলে নিয়ে জায়ান্ট দল হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে আবারও নিজেদের প্রমাণিত করলো অজিরা।
সবশেষে, ভারতের জন্য দুঃখ প্রকাশ করার আলাদা কোন ভাষা নেই। পুরো টুর্নামেন্টেই অনবদ্য ছিলো ভারত দল। শেষ দিকে এসে এভাবে আশাভঙ্গ হবে সে কল্পনা হয়ত কেউ করেনি। হয়ত অন্য কখনো হবে। হয়ত একদিন ভারতের দীর্ঘ অপেক্ষার শেষ হবে। তবে সেদিন বিরাটের মত অনবদ্য এত রেকর্ড নিয়ে কেউ হয়তো ক্রিকেট বিশ্বকে মাতাবে না। খুব কাছে এসেও যেন খুব দূরে।