সিলেটে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার প্রথম টি-২০তে আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ।
সিলেটে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম টি-২০তে বাংলাদেশকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল আফগানিস্তান। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু শুরু থেকে বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হেনেছে আফগান বোলাররা। প্রথম ওভারেই ফজলহক ফারুকির বলে ফাঁদে পড়ে বোল্ড আউট হন রনি তালুকদার (৪)।
সঙ্গী হারিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি গড়েন লিটন দাস। কিন্তু দলীয় ৩০ রানে মুজিবের অ্যাটাকে ফিরেন শান্ত (১৪)। এরপর মাত্র ৯ রান যোগ করে আজমতউল্লাহর বলে রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন লিটন দাস।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এমন সময়ে আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতে বৃষ্টি মাঝপথে হানা দেয়। এরপর ৭.২ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান সংগ্রহ করেই মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টি থামার পর ৮টা ৫০ মিনিটে আবার ম্যাচ শুরু হয়।
দ্বিতীয় বার ম্যাচ শুরুর পর উইকেটে সেট হওয়া শুরু করেছিলেন সাকিব-হৃদয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ১১তম ওভারে ফরিদ আহমেদের বলে করিম জানাতের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাকিব। ১৭বলে ৩ চারসহ ১৯ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব।
সাকিব ফিরলে ক্রিজে আসেন শামীম। শামীমকে নিয়ে নতুন করে জুটি গড়েন হৃদয়। এই জুটিতে ৭৩ রান আসে। ১৮তম ওভারে রশিদের বলে গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শামীম। ২৫ বলে ৪টি চারসহ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন শামীম।
শামীম ফিরলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে একের পর এক উইকেট যেতে থাকে। একে একে পরপর ৩ বলে ফিরেন মিরাজ (৮), তাসকিন (০) এবং নাসুম (০)। শেষ ২বলে প্রয়োজন ছিল ২রান।
এমন সময় শরীফুল ক্রিজে এসে প্রথম বল মোকাবিলাতেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয় পায়। তৌহিদ হৃদয় ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। আফগানিস্তানের হয়ে হ্যাট্রিক উইকেট নেন করিম জানাত।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে যায় আফগানিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে খুব দ্রুতই বিপাকে পড়ে আফগানরা। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে খুব দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে আফগান ব্যাটাররা। ৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল আফগানরা।
এমন সময় নবি এসে আজমতউল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন। ২৩ রান করে আজমতউল্লাহ ফিরলে নবি শেষ দিকে রশিদ ও মুজিবকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন। মাঝপথে রশিদের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। নবি ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান নিয়ে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন সাকিব।